এবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের ওপর শুল্ক আরোপের হুমকি ট্রাম্পের
আগামী মাসে দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিতে যাচ্ছেন রিপাবলিকান নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প। দায়িত্ব গ্রহণের আগেই বিভিন্ন ইস্যুতে মন্তব্য করে নিয়মিত আলোচনায় রয়েছেন তিনি। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের বৃহৎ বাণিজ্য অংশীদার ইউরোপীয় ইউনিয়নকে (ইইউ) তেল-গ্যাস আমদানি নিয়ে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ট্রাম্প।
ইইউর প্রতি ট্রাম্পের সতর্কবার্তা:
স্থানীয় সময় শুক্রবার নিজের ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে ট্রাম্প পোস্ট করে জানান, ইইউকে তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও বেশি তেল ও গ্যাস কিনে তাদের বাণিজ্য ঘাটতি পূরণ করতে হবে। তা না হলে, ইইউর ওপর সম্পূর্ণ শুল্ক আরোপ করা হবে।
ইইউর প্রতিক্রিয়া:
ইইউর একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, তারা এ বিষয়ে আলোচনায় প্রস্তুত। ইতোমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিপুল পরিমাণ তেল ও গ্যাস আমদানি করছে ইইউ। তবে যুক্তরাষ্ট্র যদি উৎপাদন না বাড়ায় বা এশিয়ার মতো বড় ক্রেতাদের সরবরাহ সীমিত না করে, তাহলে অতিরিক্ত আমদানি সম্ভব হবে না।
বাণিজ্য ঘাটতির পরিসংখ্যান:
২০২২ সালে ইইউ যুক্তরাষ্ট্র থেকে পণ্য আমদানি করেছিল ৫৩ হাজার ৩৩০ কোটি ডলারের, আর যুক্তরাষ্ট্র ইইউতে রপ্তানি করেছিল ৩৫ হাজার ৮০ কোটি ডলারের পণ্য। ফলে ওই বছর ইইউর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ২০ হাজার ২৫০ কোটি ডলার।
বৈশ্বিক অর্থনীতিতে অস্থিরতার আশঙ্কা:
ট্রাম্প ইতোমধ্যেই কানাডা, মেক্সিকো এবং চীনের বিরুদ্ধে কঠোর শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন। এই পরিস্থিতি বৈশ্বিক অর্থনীতিতে অস্থিরতার শঙ্কা বাড়িয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, ইইউর ওপর শুল্ক আরোপের হুমকি সম্ভাব্য বাণিজ্য যুদ্ধের আশঙ্কা তৈরি করেছে, যা ইউরোপীয় দেশগুলোর অর্থনীতিতে আরও চাপ সৃষ্টি করতে পারে।
বিশ্লেষকদের অভিমত:
যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ইইউ ইতোমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের তেল-গ্যাসের বড় ক্রেতা। তবে ট্রাম্পের এই শুল্ক হুমকি ইউরোপীয় দেশগুলোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য সম্পর্কের অবনতি ঘটাতে পারে এবং বৈশ্বিক অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।