এবার ইয়েমেনে হামলা শুরু করল ইসরায়েল
মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা আরও তীব্রতর হয়েছে, কারণ ফিলিস্তিনের গাজা ও পশ্চিম তীর, লেবানন এবং সিরিয়ার পর এবার ইয়েমেনে সামরিক অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েল। আজ বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী ইয়েমেনের ‘সামরিক স্থাপনায়’ হামলা চালানোর খবর নিশ্চিত করেছে।
হামলার পটভূমি:
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর দাবি, হুতি বিদ্রোহীরা ইসরায়েল অভিমুখে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করার জবাবে এই হামলা চালানো হয়েছে। সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র দানিয়েল হাগারি জানিয়েছেন, হুতি বিদ্রোহীদের সামরিক স্থাপনা, জ্বালানি অবকাঠামো এবং সানার বন্দর লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে।
হামলার বিস্তারিত:
হুতি বিদ্রোহীদের ঘনিষ্ঠ টেলিভিশন চ্যানেল আল মাশিরাহ জানায়, আজ ভোরে রাজধানী সানা এবং বন্দরনগরী হোদেইদাহতে ইসরায়েলি হামলা হয়েছে।
- সানা: দুটি কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎকেন্দ্রে হামলা চালানো হয়েছে।
- হোদেইদাহ: বন্দরে অন্তত চারটি এবং জ্বালানি স্থাপনায় দুটি হামলা চালানো হয়েছে।
হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির তথ্য:
এখনও পর্যন্ত হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে হামলার লক্ষ্যবস্তু এবং এর ব্যাপকতা বিবেচনায় ক্ষয়ক্ষতি উল্লেখযোগ্য হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনার বিস্তার:
ইসরায়েলের এই হামলা মধ্যপ্রাচ্যে সংকটকে আরও জটিল করে তুলছে। হুতি বিদ্রোহীরা ইয়েমেনে দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় এবং তাদের ইরানের সমর্থন রয়েছে বলে জানা যায়। এই পরিস্থিতিতে ইসরায়েলের সঙ্গে হুতি বিদ্রোহীদের সরাসরি সংঘর্ষ অঞ্চলে নতুন একটি সামরিক ফ্রন্ট খুলে দিতে পারে।
- ইসরায়েলের এই পদক্ষেপ গাজা, লেবানন, এবং সিরিয়ার চলমান সংঘর্ষের পাশাপাশি একটি নতুন দিক উন্মোচন করেছে, যা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য আরও হুমকিস্বরূপ।
- হুতি বিদ্রোহীদের সঙ্গে সংঘর্ষের পরিণতি ইরান এবং সৌদি আরবের ভূরাজনৈতিক অবস্থানকেও প্রভাবিত করতে পারে।
- বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং জ্বালানি স্থাপনায় হামলার ফলে ইয়েমেনের নাগরিক জীবনে সংকট আরও বাড়তে পারে।
এই হামলা মধ্যপ্রাচ্যের বর্তমান পরিস্থিতির আরও অবনতির ইঙ্গিত দেয় এবং আঞ্চলিক সংঘর্ষকে নতুন মাত্রা প্রদান করে। পরিস্থিতি কীভাবে এগোয়, তা আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের কড়া নজরে রয়েছে।