ফিরল গণভোট ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা
সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী পর্যবেক্ষণসহ আংশিক বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। আদালত জানিয়েছেন, সংসদীয় কার্যপ্রণালীর ১৪২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সংশোধনীটি যথাযথ হয়নি।
হাইকোর্টের রায় ও পর্যবেক্ষণ:
১. পঞ্চদশ সংশোধনী:
- আদালত এই সংশোধনীর কিছু অংশকে সংবিধান পরিপন্থী বলে রায় দিয়েছেন এবং আংশিক বাতিল করেছেন।
২. ৭ এর ক ও খ অনুচ্ছেদ:
- সংবিধান বহির্ভূতভাবে ক্ষমতা দখল সংক্রান্ত ৭(ক) ও ৭(খ) অনুচ্ছেদ বাতিল করা হয়েছে।
৩. ৭ মার্চ ও ২৬ মার্চের ইস্যু:
- আদালত বলেছেন, ৭ মার্চের ভাষণ এবং ২৬ মার্চের ঘোষণা বহাল থাকবে।
- এ সংক্রান্ত বিষয়ে সিদ্ধান্ত পরবর্তী সংসদের উপর নির্ভর করবে।
৪. অন্তর্বর্তীকালীন সরকার:
- আদালতের মতে, এটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার নয়।
- বরং জনআকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন হিসেবে এটি বিশেষ ব্যবস্থার সরকার।
মূল পর্যবেক্ষণ:
- আদালতের রায় অনুযায়ী, সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী প্রণয়নের ক্ষেত্রে আইনি প্রক্রিয়া যথাযথভাবে অনুসরণ করা হয়নি।
- ক্ষমতা দখলের বিষয়ে ৭(ক) ও ৭(খ) অনুচ্ছেদের বাতিল সিদ্ধান্ত সংবিধানের মৌলিক কাঠামো রক্ষার ইঙ্গিত বহন করে।
- ৭ মার্চ ও ২৬ মার্চ জাতীয় ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
হাইকোর্ট সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর কিছু অংশ বাতিল করে তা অসংবিধানিক বলে রায় দিয়েছেন এবং বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন যে, অন্তর্বর্তী সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকার নয় বরং এটি একটি বিশেষ ব্যবস্থা।