সয়াবিন তেলের দাম সহনীয় রাখতে সরকারের উদ্যোগ
সরকার ভোজ্যতেলের দাম সহনীয় রাখতে সয়াবিন, পাম, সানফ্লাওয়ার ও ক্যানোলা তেলের আমদানি, উৎপাদন এবং ব্যবসায় পর্যায়ে ভ্যাট ও অগ্রিম কর কমানোর ঘোষণা দিয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ সোমবার এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে, যা তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হবে এবং আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
ভ্যাট ও কর কমানোর বিবরণ
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী:
- আমদানি পর্যায়ে:
- পরিশোধিত ও অপরিশোধিত সয়াবিন তেল
- পরিশোধিত ও অপরিশোধিত পাম তেল
- অপরিশোধিত সানফ্লাওয়ার ও ক্যানোলা তেল
- উপরোক্ত তেলের আমদানিতে ৫% অতিরিক্ত ভ্যাট মওকুফ করা হয়েছে।
- উৎপাদন পর্যায়ে:
- পরিশোধিত সয়াবিন ও পাম তেলের স্থানীয় উৎপাদনে ভ্যাট মওকুফ।
- অগ্রিম কর অব্যাহতি:
- অপরিশোধিত সানফ্লাওয়ার ও ক্যানোলা তেল
- পরিশোধিত সানফ্লাওয়ার ও ক্যানোলা তেলের আমদানিতে অগ্রিম কর মওকুফ।
তেলের বর্তমান দাম
৯ ডিসেম্বর থেকে সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে। নতুন মূল্য তালিকা অনুযায়ী:
- বোতলজাত সয়াবিন তেল (প্রতি লিটার): ১৭৫ টাকা (পূর্বে ১৬৭ টাকা)।
- খোলা সয়াবিন তেল (প্রতি লিটার): ১৫৭ টাকা (পূর্বে ১৪৯ টাকা)।
- খোলা পাম তেল (প্রতি লিটার): ১৫৭ টাকা (পূর্বে ১৪৯ টাকা)।
- পাঁচ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল: ৮৬০ টাকা (পূর্বে ৮১৮ টাকা)।
সরবরাহ নিয়ন্ত্রণে বাড়তি পদক্ষেপ
সয়াবিন তেলের দাম বৃদ্ধি ও আসন্ন রমজান মাসে ভোজ্যতেলের পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন (বিটিটিসি) রাইস ব্র্যান অয়েলের (ধানের কুঁড়ার তেল) রপ্তানিতে ২৫% নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করেছে। এই সুপারিশ অনুযায়ী, অপরিশোধিত ও পরিশোধিত উভয় ধরনের কুঁড়ার তেলের রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
সরকারের উদ্দেশ্য
এ পদক্ষেপের মাধ্যমে আসন্ন রমজান মাসে ভোজ্যতেলের বাজারে সরবরাহ বাড়ানো ও মূল্য স্থিতিশীল রাখা সরকারের মূল লক্ষ্য। ভ্যাট ও কর কমানোর ফলে আমদানিকারক ও উৎপাদকরা সরবরাহে উৎসাহিত হবে এবং এর ইতিবাচক প্রভাব বাজারে পড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।