সংস্কারে কত মাস লাগবে, জানার অধিকার আছে: তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দলের আলোচনা সভায় বলেন, রাষ্ট্র মেরামতের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের সময়সীমা জানার অধিকার জনগণের রয়েছে। রোববার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত এ সভায় তিনি লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
তারেক রহমান দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, “শত অস্পষ্টতা কাটিয়ে দ্রুতই নির্বাচনী রোডম্যাপ বাস্তবায়নের যাত্রা শুরু করবে বাংলাদেশ। এই যাত্রায় গণতন্ত্রকামী জনগণ আপনাদের বিশ্বস্ত সঙ্গী হবে। জনগণের সঙ্গে থাকুন এবং তাদের সঙ্গে রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করুন।”
তিনি আরও বলেন, “রোডম্যাপ ঘোষণার প্রসঙ্গ আসলেই যদি উপদেষ্টাদের মাঝে অস্বস্তি দেখা দেয়, তা অবশ্যই গণআকাঙ্ক্ষার বিরোধী। একটি সরকার জনগণের কাছে যত বেশি স্বচ্ছ থাকবে, জনগণের সমর্থন ততই বৃদ্ধি পাবে।”
অতীত ও ভবিষ্যতের বিজয় দিবস প্রসঙ্গে
তারেক রহমান ১৯৭১ সালের বিজয়ের প্রসঙ্গ তুলে বলেন, “১৯৭১ ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের বছর আর ২০২৪ হলো স্বাধীনতা রক্ষার বছর। এবারের বিজয় দিবস হবে অধিক অর্থবহ, আনন্দের ও গৌরবের।” তিনি ভবিষ্যতে বিজয় দিবসগুলোকে রাষ্ট্র ও সরকারের প্রতিশ্রুতি পূরণের দিন হিসেবে দেখতে চান।
জনগণের দুর্ভোগ ও সরকারের করণীয়
দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে তারেক রহমান বলেন:
- “প্রতিদিন ডেঙ্গুতে মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। চিকিৎসা খরচ মেটাতে মানুষ হিমশিম খাচ্ছে। নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতিতে জনজীবন বিপর্যস্ত।”
- “অন্তর্বর্তী সরকার যদি সংস্কারের নামে সময়ক্ষেপণ করে, তাহলে জনগণ প্রশ্ন করবে, সংস্কার আগে না সংসার আগে?”
তিনি আরও বলেন, “মানুষ দুর্ভোগ মেনে নিয়েছে কারণ তারা অন্তর্বর্তী সরকারকে সফল দেখতে চায়। তবে সরকারের কার্যক্রমে সেই প্রমাণ থাকতে হবে।”
৩১ দফা কর্মসূচি ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ
তারেক রহমান বলেন, “লাখো শহীদের রক্তের ঋণে জনগণ আজ ঐক্যের মোহনায় দাঁড়িয়েছে। বিএনপির ৩১ দফা কর্মসূচি বৈষম্যহীন মানবিক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যেই প্রণয়ন করা হয়েছে।” তিনি বলেন, “রাষ্ট্রকে প্রতিটি নাগরিকের দায়িত্ব নিতে হবে।”
মির্জা ফখরুলের আহ্বান
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “তারেক রহমানের দেশে ফিরে নেতৃত্ব প্রদান দেশের মানুষের একান্ত চাওয়া। দ্রুত একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে রাষ্ট্র সংস্কারের পথ সুগম করাই এখন আমাদের মূল লক্ষ্য।”
সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান, সালাহউদ্দিন আহমেদসহ দলের বিভিন্ন শাখার নেতারা।
সভাটি পরিচালনা করেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু।