December 22, 2024
চীনের চারগুণ আর ভারতের বেড়েছে দ্বিগুণ

চীনের চারগুণ আর ভারতের বেড়েছে দ্বিগুণ

ডিসে ১৪, ২০২৪

বিদায়ী আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ অর্থবছরে বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগের সামগ্রিক অবস্থা তেমন ভালো নয়, তবে চীন এবং ভারতের বিনিয়োগ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। যদিও মোট বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ কমেছে, বিশেষ করে ২০২৩–২৪ অর্থবছরে, তবুও চীন এবং ভারত থেকে বিনিয়োগের উন্নতি কিছুটা আশাব্যঞ্জক। চীনা বিনিয়োগ আগের অর্থবছরের তুলনায় চারগুণ বেড়ে ২৮ কোটি ডলারে পৌঁছেছে, এবং ভারত থেকে বিনিয়োগ দ্বিগুণ বেড়ে ১৩ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে।

তবে, সামগ্রিকভাবে বিদেশি বিনিয়োগের প্রবাহ কমেছে। ২০২৩–২৪ অর্থবছরে ১৪৭ কোটি ডলারের বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে, যা পূর্ববর্তী বছরগুলোর তুলনায় ৮ দশমিক ৮০ শতাংশ কম। ২০২১–২২ অর্থবছরে ১৭২ কোটি ডলার ছিল। বিদেশি বিনিয়োগের এই পতনকে বেশ কিছু বিষয় নির্ধারণ করছে, যেমন দেশের ব্যবসার পরিবেশ, দুর্নীতি, এবং বৈদেশিক মুদ্রার অস্থিরতা। সিপিডির জরিপ অনুযায়ী, ব্যবসায়ীদের জন্য প্রধান বাধা হিসেবে দুর্নীতি চিহ্নিত হয়েছে, যা বিনিয়োগকারীদের আস্থা কমাতে ভূমিকা রাখছে।

চীনের মধ্যে ব্যবসায়িক অস্থিরতা এবং ভারতে চীনা বিনিয়োগের সীমাবদ্ধতা বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগ বাড়ানোর সুযোগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষত, চীন থেকে বিনিয়োগ সরছে এবং ভিয়েতনামে বিনিয়োগের সুযোগ সীমিত হয়ে পড়েছে, যা বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগ বৃদ্ধির সম্ভাবনা বাড়াচ্ছে।

এম এ রাজ্জাকের মতে, বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। প্রথমত, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমতে দেওয়া যাবে না এবং গ্যাস-বিদ্যুতের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। দ্বিতীয়ত, ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের পরিবর্তে ১-২টি অর্থনৈতিক অঞ্চল দ্রুত প্রস্তুত করা উচিত, যাতে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের একটি ইতিবাচক বার্তা পৌঁছানো যায়। এছাড়া, ব্যবসা-বাণিজ্যের সমস্যাগুলো যেমন দুর্নীতি, আমলাতন্ত্র, উচ্চ করহার এবং নীতি পরিবর্তনগুলো মোকাবিলা করা প্রয়োজন, যা বিদেশি বিনিয়োগকে আরও উত্সাহিত করতে সহায়ক হবে।

সংক্ষেপে, বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগে কিছু উন্নতি দেখা গেলেও সামগ্রিক পরিস্থিতি চ্যালেঞ্জিং। যথাযথ অর্থনৈতিক নীতি ও কৌশল অবলম্বন করে বাংলাদেশের বিনিয়োগ পরিবেশকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলা সম্ভব, যা ভবিষ্যতে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানোর সুযোগ সৃষ্টি করবে।

Leave a Reply