মির্জা আজমের ৮০টি ব্যাংক হিসাবে ৯০৭ কোটি টাকা লেনদেন
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সাবেক বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম, তার স্ত্রী দেওয়ান আলেয়া এবং তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ৯০৭ কোটি ৬৬ লাখ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে। এই মামলায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনসহ বিভিন্ন আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার বিবরণ:
১. মির্জা আজমের ব্যাংক হিসাব:
- ২৪টি ব্যাংক হিসাবে ৩৯০ কোটি ৮১ লাখ টাকার লেনদেনের প্রমাণ পাওয়া যায়।
- এর মধ্যে ৩৮৯ কোটি ৭১ লাখ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে।
২. ঋণ লেনদেন:
- ১৩টি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে ২৯৯ কোটি ২৮ লাখ টাকা উত্তোলন এবং ৩০০ কোটি ৩৭ লাখ টাকা জমার তথ্য পাওয়া গেছে।
৩. এফডিআর:
- মির্জা আজম ও তার স্ত্রী দেওয়ান আলেয়ার ২৩টি এফডিআর হিসাবের বিপরীতে ৭০ কোটি ৪০ লাখ টাকা সংরক্ষিত রয়েছে।
৪. অন্য হিসাব লেনদেন:
- তাদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৬০টি ব্যাংক হিসাবে ৭২৫ কোটি ৭০ লাখ টাকার লেনদেনের প্রমাণ পাওয়া যায়।
- এর মধ্যে ৭২৪ কোটি ৮৯ লাখ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে।
৫. অস্বাভাবিক লেনদেন:
- সব মিলিয়ে ৮০টি ব্যাংক হিসাবে ৯০৭ কোটি ৬৬ লাখ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন শনাক্ত করা হয়েছে।
অবৈধ সম্পদের অভিযোগ:
- মির্জা আজম: ৩৯ কোটি ৭৬ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ।
- তার স্ত্রী দেওয়ান আলেয়া: ২৩ কোটি ৭৭ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ।
- তাদের মেয়ে মির্জা অপি: ৩ কোটি ৯৯ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ।
আইনি ধারা:
- দুদক আইন, ২০০৪: ধারা ২৭(১)।
- দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭: ধারা ৫(২)।
- মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২: ধারা ৪(২) ও ৪(৩)।
দুদকের উপপরিচালক মো. সালাহউদ্দিন এবং সহকারী পরিচালক মো. ফেরদৌস রহমান পৃথক দুটি মামলার বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) এ মামলা দায়ের করেন।