ভারতের আগরতলায় হামলার প্রতিবাদে বিএনপির লংমার্চ: নেতাদের কঠোর হুঁশিয়ারি
ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা, জাতীয় পতাকার অবমাননা, এবং ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বিএনপির তিন অঙ্গসংগঠন যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, এবং ছাত্রদল ঢাকা-আখাউড়া লংমার্চ করেছে। বুধবার অনুষ্ঠিত এই লংমার্চে নেতারা বাংলাদেশের জনগণের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার অঙ্গীকার করেন এবং ভারতের যেকোনো ধরনের আগ্রাসন প্রতিহত করার ঘোষণা দেন।
লংমার্চের সূচনা
সকাল ৯টায় বিএনপির নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে লংমার্চ শুরু হয়। হাজারো নেতাকর্মী প্রাইভেটকার, ট্রাক, পিকআপ নিয়ে রওনা দেন। বিভিন্ন জেলায় স্থানীয় নেতাকর্মীরা সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে লংমার্চে অংশ নেওয়া নেতাকর্মীদের স্বাগত জানান।
লংমার্চ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন,
“আমরা রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা এনেছি। দিল্লির কাছে কখনো আত্মসমর্পণ করব না। ভারতের শাসকগোষ্ঠী গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ লঙ্ঘন করছে। বাংলাদেশ একটি স্বাধীনচেতা জাতি এবং তারা তাদের বীরত্ব প্রদর্শনে সব সময় প্রস্তুত।”
ভৈরব ও আখাউড়ায় পথসভা
লংমার্চ ভৈরবে পৌঁছালে সংক্ষিপ্ত পথসভায় জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি এসএম জিলানী ভারতের সমালোচনা করে বলেন,
“ভারত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের দাবি করলেও তাদের কার্যকলাপ উল্টো। এ দেশের মানুষের প্রতি ভারতের হস্তক্ষেপ বরদাস্ত করা হবে না।”
আখাউড়ায় সমাপনী সমাবেশে যুবদল সভাপতি মোনায়েম মুন্না বলেন,
“বাংলাদেশের জনগণ অন্য কোনো দেশের প্রভুত্ব মানবে না। আমরা ভারতকে প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসেবে দেখি, কিন্তু তারা আমাদের ওপর ষড়যন্ত্র করলে কঠোর প্রতিরোধ করা হবে।”
ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন,
“শেখ হাসিনার সরকার ভারতের পৃষ্ঠপোষকতায় আমাদের নেতাকর্মীদের গুম ও খুন করেছে। কিন্তু এসব ষড়যন্ত্র সফল হবে না।”
লংমার্চে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা
লংমার্চ ঘিরে ঢাকা-আখাউড়া রুটজুড়ে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। পথে পথে নেতাকর্মীদের গাড়িবহরকে স্বাগত জানানো হয় ফুল ছিটিয়ে ও স্লোগানের মাধ্যমে।
নেতাদের বার্তা
লংমার্চে অংশগ্রহণকারী নেতারা ভারতের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য জনগণকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান। তারা দাবি করেন, দেশের স্বার্থবিরোধী যেকোনো ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে বিএনপি সবসময় জনগণের পাশে থাকবে।