দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী কিম ইয়ং-হিউনের আত্মহত্যার চেষ্টা
দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী কিম ইয়ং-হিউন কারাগারে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে দেশটির একটি আটক কেন্দ্রে তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
পদত্যাগ ও আটক
কিম ইয়ং-হিউন সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক আইন জারির ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পদত্যাগ করেন। প্রেসিডেন্টের নির্দেশে সামরিক আইন জারি করা হলেও, কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তা প্রত্যাহার করা হয়। এরপর কিম পদত্যাগ করেন এবং তাকে আটক করা হয়।
আটকের পর কিম স্বীকার করেন, সামরিক আইন সম্পর্কিত সব পদক্ষেপ তার কর্তৃত্বের অধীনে পরিচালিত হয়েছিল। এই ঘটনায় জনসাধারণের উদ্বেগ ও বিভ্রান্তির জন্য তিনি ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনা
দক্ষিণ কোরিয়ার বিচার মন্ত্রণালয়ের সংশোধনাগারের প্রধান শিন ইয়ং-হে জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাতে কিম ইয়ং-হিউন আটক কেন্দ্রে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিকভাবে তাকে উদ্ধার করে।
রাজনৈতিক সংকটের পটভূমি
কিম ইয়ং-হিউনের পদত্যাগের পেছনে সামরিক আইন জারির ব্যর্থ প্রচেষ্টা মূল কারণ। প্রেসিডেন্ট আকস্মিকভাবে সামরিক আইন জারির ঘোষণা দিলেও, জনগণের তীব্র প্রতিবাদ এবং পার্লামেন্ট সদস্যদের বিরোধিতার মুখে এটি কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই প্রত্যাহার করা হয়।
এই ঘটনার পর দেশজুড়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা চরমে ওঠে। কিমের পদত্যাগ এবং দায়িত্ব স্বীকার সত্ত্বেও সামরিক আইন জারির প্রচেষ্টা দক্ষিণ কোরিয়ার গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার ওপর গুরুতর প্রভাব ফেলেছে। এটি দেশটির ইতিহাসে অন্যতম বড় রাজনৈতিক সংকট হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হিসেবে এমন সংকট গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও প্রশাসনিক স্থিতিশীলতার প্রতি এক বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে। সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর এই ঘটনা কেবল রাজনৈতিক নয়, মানবিক দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ এক ইস্যু হয়ে উঠেছে।