সুইফটের কনসার্ট ট্যুর কেন এত জনপ্রিয়তা পেল
পপ তারকা টেলর সুইফটের দীর্ঘ ২০ মাসের বিশ্বভ্রমণ কনসার্ট “দ্য ইরাস ট্যুর” সম্প্রতি কানাডার ভ্যাঙ্কুভারে শেষ হয়েছে। এই ট্যুর নানা কারণেই ইতিহাসে জায়গা করে নিয়েছে। ৫ মহাদেশের ৫৩টি শহরে ১৪৯টি শোয়ের মাধ্যমে ট্যুরটি পরিণত হয়েছে সর্বকালের সবচেয়ে ব্যবসাসফল কনসার্ট ট্যুরে।
ট্যুরের সাফল্য ও অর্থনীতি
- আয়ের রেকর্ড: টিকিট বিক্রি থেকে এসেছে প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার।
- কনসার্ট সিনেমা: ট্যুর নিয়ে নির্মিত সিনেমা ২৬১.৭ মিলিয়ন ডলার আয় করে ইতিহাসের সর্বাধিক ব্যবসাসফল কনসার্ট সিনেমা হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে।
- অর্থনৈতিক প্রভাব: শুধু কানাডার টরন্টোতেই ছয়টি শো থেকে অর্থনীতিতে যোগ হয়েছে ১৯৯ মিলিয়ন ডলার।
বিশ্বজুড়ে উন্মাদনা
এই ট্যুর টেলর সুইফটকে এক ভিন্ন উচ্চতায় নিয়ে গেছে। ভক্তদের, যাঁরা ‘সুইফটিজ’ নামে পরিচিত, মধ্যে এই কনসার্ট ঘিরে তৈরি হয়েছিল ভীষণ উন্মাদনা।
- বিশেষ চমক: প্রতিটি শোতে নতুন নতুন গান আর মঞ্চে চমৎকার পারফরম্যান্সে দর্শকদের মুগ্ধ করেছেন সুইফট।
- বিশ্বজুড়ে প্রভাব: মিউনিখের পাহাড়ে বসে গান শোনা ৪০ হাজার শ্রোতা কিংবা কনসার্টের কারণে ভূমিকম্পের মতো ঘটনাগুলো এই ট্যুরের অভাবনীয়তার প্রমাণ।
- সামাজিক সংযোগ: সুইফটিজদের মতে, এই ট্যুর তাদের মধ্যে সৌহার্দ্য তৈরি করেছে।
একনজরে দ্য ইরাস ট্যুর
- শুরু: ২০২৩ সালের ১৭ মার্চ, অ্যারিজোনা, যুক্তরাষ্ট্র।
- শেষ: ২০২৪ সালের ৮ ডিসেম্বর, ভ্যাঙ্কুভার, কানাডা।
- শহর সংখ্যা: ৫৩
- মোট শো: ১৪৯
- কনসার্ট বুক: প্রথম সপ্তাহেই বিক্রি ৮১৬,০০০ কপি।
সুইফটের অভিব্যক্তি
“দ্য ইরাস ট্যুর বুক”-এ সুইফট লিখেছেন,
“এই ট্যুরে যা হয়েছে, তা কল্পনার বাইরে। একটি ট্যুর কীভাবে সারা দুনিয়াকে একত্র করতে পারে, সেটা এবার দেখলাম।”
আগামীর পরিকল্পনা
ভক্তদের চাপে দ্রুতই আরেকটি ট্যুর আয়োজনের কথা উঠলেও সুইফট জানিয়েছেন, তিনি একই জিনিস বারবার করতে পছন্দ করেন না। ক্লান্ত সুইফট এখন কিছুটা বিশ্রাম নিতে চান। তবে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন নতুন কিছু নিয়ে ফিরে আসার।
“দ্য ইরাস ট্যুর” কেবল একটি কনসার্ট ট্যুর নয়; এটি সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক এবং সামাজিক প্রভাবের অনন্য উদাহরণ হয়ে থাকবে।