লজ্জাজনক পতনের পর পলাতক অবস্থায়ও তারা খাসলত বদলাতে পারেনি: জামায়াতের আমির
জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান আওয়ামী লীগ সরকারের কঠোর সমালোচনা করে বলেছেন, বিগত সাড়ে ১৫ বছরে তারা মানুষের রক্ত নিয়ে খেলেছে। তিনি দাবি করেন, আওয়ামী লীগের দমন-পীড়ন ও অবিচারের বিরুদ্ধে ছাত্র ও সাধারণ মানুষের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের ফলে তাদের লজ্জাজনক পতন হয়েছে। সোমবার রাতে ঢাকার কাফরুল দক্ষিণ থানা জামায়াত আয়োজিত এক সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শফিকুর রহমান বলেন, “আওয়ামী লীগ ২৮ অক্টোবর প্রকাশ্য রাজপথে মানুষ হত্যা করেছে। এরপর পাতানো নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা হত্যার পাশাপাশি জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের কথিত বিচারের নামে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। তাদের নিপীড়ন থেকে আলেম-ওলামা এবং মাদ্রাসার ছাত্ররাও রেহাই পায়নি।”
তিনি আরও বলেন, “ছাত্রলীগের কিছু নেতার কর্মকাণ্ড জাতিকে লজ্জায় ফেলেছে। তাদের কেউ ভারতে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছে। অতীতে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণের সেঞ্চুরি উদযাপন করেছে। এই অপশক্তি দীর্ঘদিন ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করলেও ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে তাদের চক্রান্ত মাটিতে মিশে গেছে।”
শফিকুর রহমান ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত জামায়াত ও তাদের সমর্থকদের শহীদের মর্যাদা দেওয়ার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। তিনি বলেন, “শহীদদের আত্মত্যাগে দেশ আজ মুক্ত পরিবেশ পেয়েছে। এটি আল্লাহর পরিকল্পনা অনুযায়ীই ঘটেছে।”
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কাফরুল দক্ষিণ থানা জামায়াতের আমির আনোয়ারুল করিম। সেক্রেটারি আবু নাহিদের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন। আরও বক্তব্য দেন মহানগরী সহকারী সেক্রেটারি ফখরুদ্দিন মানিক এবং কর্মপরিষদ সদস্য মুহাম্মদ শহিদুল্লাহসহ শীর্ষ নেতারা।
সমাবেশে বক্তারা জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তাদের ত্যাগ ও অবিচল অবস্থানকে দেশের সম্মান বৃদ্ধি করেছে বলে উল্লেখ করেন। সমাবেশটি রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা সৃষ্টি করেছে।