বিএনপির সহযোগী সংগঠনগুলোর লং মার্চ কর্মসূচি ঘোষণা
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) তিন সহযোগী সংগঠন—জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, এবং ছাত্রদল—ভারতীয় আগ্রাসন ও মিথ্যা তথ্য সন্ত্রাসের প্রতিবাদে ঢাকা থেকে আগরতলা অভিমুখে একটি লং মার্চ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামী ১১ ডিসেম্বর বুধবার নয়া পল্টন থেকে আখাউড়া সীমান্ত পর্যন্ত এই লং মার্চ অনুষ্ঠিত হবে।
লং মার্চের ঘোষণা
সোমবার (আজ) সকালে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিন সংগঠনের পক্ষে যুবদলের সভাপতি এম মোনায়েম মুন্না এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন। তিনি বলেন,
“১১ ডিসেম্বর সকাল ৮টায় নয়া পল্টনে জমায়েত হয়ে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে লং মার্চ শুরু করব এবং আখাউড়া সীমান্ত পর্যন্ত যাত্রা করব।”
তিনি সকল ছাত্র, যুবক, এবং স্বেচ্ছাসেবক সংগঠনের নেতা-কর্মীদের এই লং মার্চে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান। পাশাপাশি গণমাধ্যমের প্রতি তাদের সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং এই কর্মসূচিতে সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেন।
পটভূমি
রবিবার (গতকাল) তিন সংগঠন একটি প্রতিবাদী পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করে। রামপুরা ব্রিজের কাছে পুলিশ পদযাত্রা আটকে দিলেও সংগঠনের নেতারা বারিধারায় ভারতীয় দূতাবাসে গিয়ে একটি স্মারকলিপি জমা দেন। স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়:
- ভারতে বাংলাদেশের দূতাবাসে হামলার প্রতিবাদ
- বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননার নিন্দা
- ভারতীয় মিডিয়ায় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য প্রচারের প্রতিবাদ
- বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের হস্তক্ষেপ বন্ধ করার দাবি
কর্মসূচির কারণ
জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি এম মোনায়েম মুন্না বলেন,
“ভারতে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননা এবং মিডিয়ায় চলমান তথ্য সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আমরা এই কর্মসূচি গ্রহণ করেছি। এ বিষয়ে ভারতকে সতর্ক করে দিতে আমাদের এই শান্তিপূর্ণ লং মার্চ।”
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত
সংবাদ সম্মেলনে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, এবং ছাত্রদলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য:
- স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানি ও সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান
- যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন
- ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব
এ ধরনের লং মার্চ কর্মসূচি বিএনপির রাজনৈতিক আন্দোলনে নতুন মাত্রা যোগ করবে। তবে এ কর্মসূচি বাস্তবায়নে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক বাধা আসার সম্ভাবনা রয়েছে। দলীয় নেতারা কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ রাখার ঘোষণা দিলেও পরিস্থিতি কেমন হবে তা সময়ই বলে দেবে।