আন্দোলনের অর্জনকে বৃথা হতে দেওয়া হবে না: মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শুক্রবার ঢাকায় ছাত্র কনভেনশনে বক্তব্য রাখেন, যেখানে তিনি দেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি, আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র, এবং ছাত্র-জনতার আন্দোলনের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন। রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ কনভেনশনে ঢাকাস্থ ঠাকুরগাঁও ছাত্র কল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে তিনি ছাত্র সমাজকে আন্দোলনের মাধ্যমে দেশের ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে আহ্বান জানান।
১. আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র ও ভারতের ভূমিকা
মির্জা ফখরুল দাবি করেন, সীমান্তের ওপারে “ফ্যাসিস্ট শক্তি” বসে নানা ষড়যন্ত্র করছে।
- তিনি বলেন, ভারতের গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাংলাদেশকে মৌলবাদী দেশ হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা চলছে।
- এসব ঘটনাকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশকে অন্ধকারে ঠেলে দিতে আন্তর্জাতিক শক্তি সক্রিয়।
২. অর্জিত বিজয় রক্ষার আহ্বান
- ফখরুল ছাত্রদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পাওয়া অর্জনগুলোকে রক্ষা করতে হবে।
- কোনোরকম বিশৃঙ্খলা বা হঠকারিতার মাধ্যমে যেন পরিস্থিতি নষ্ট না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখার পরামর্শ দেন তিনি।
৩. ছাত্র সমাজের ভূমিকা
- ফখরুল বলেন, বর্তমান প্রজন্ম নতুন স্বপ্ন দেখে এবং নতুন বাংলাদেশ গড়ার চিন্তা করে। তাদের এই স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করতে হবে।
- তিনি বলেন, ছাত্ররা দেশের ভবিষ্যৎ এবং তাদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
৪. আওয়ামী লীগের সমালোচনা
- মির্জা ফখরুল আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করে বলেন, তারা দেশের অর্থনীতি, সমাজব্যবস্থা এবং প্রশাসনকে ধ্বংস করে দিয়েছে।
- লুটপাট, দুর্নীতি এবং অপশাসনের মাধ্যমে দেশকে ফোকলা করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
৫. ছাত্রদের ঐক্যের আহ্বান
- ছাত্র সংগঠনের মধ্যে সংঘর্ষের সমালোচনা করে তিনি বলেন, বিজয়ের পরও এমন সহিংসতা গ্রহণযোগ্য নয়।
- ঐক্য বজায় রেখে সকল প্রকার অরাজকতা প্রতিরোধ করার ওপর জোর দেন।
কনভেনশনের অন্যান্য আলোচকরা
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শিক্ষাবিদ ও অতিথিরা বক্তব্য রাখেন।
- তারা ছাত্র সমাজের ঐক্য, সচেতনতা, এবং দেশের উন্নয়নে তাদের দায়িত্বের বিষয়ে আলোচনা করেন।
- শিক্ষাবিদরা ছাত্রদের শিক্ষার পাশাপাশি নেতৃত্ব দেওয়ার মতো গুণাবলি অর্জনের তাগিদ দেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এই বক্তব্য ছাত্র সমাজকে আন্দোলনের মাধ্যমে দেশের ভবিষ্যৎ নির্মাণে উদ্বুদ্ধ করার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র এবং অভ্যন্তরীণ ঐক্য রক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরে। ছাত্রদের মধ্যে সংঘর্ষ এড়িয়ে আন্দোলনের অর্জন রক্ষার প্রতি তার আহ্বান সময়োপযোগী এবং রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।