বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টাকারীদের বিরুদ্ধে ফেসবুকে সারজিসের পোস্ট
সারজিস আলম, যিনি জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক, তার ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে দেশের স্বার্থ ও জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার গুরুত্ব তুলে ধরেছেন। তিনি বিশেষ করে অযৌক্তিকভাবে বিশৃঙ্খলা বা নৈরাজ্য সৃষ্টি করার চেষ্টা করার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। তাঁর পোস্টের মূল বক্তব্য হলো, দেশের স্বার্থ সবকিছুর আগে এবং জনগণের নিরাপত্তা রক্ষা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারের বিষয় হওয়া উচিত।
পোস্টের মূল বার্তা:
- দেশ ও জনগণের স্বার্থ: সারজিস আলম পোস্টে উল্লেখ করেছেন যে, “সবার আগে দেশ, দেশের মানুষ, জনগণের সম্পদ”। তিনি মনে করেন, দেশের স্বার্থ এবং জনগণের নিরাপত্তা সবার আগে অগ্রাধিকার পাওয়ার মতো বিষয় হওয়া উচিত।
- বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির বিরোধিতা: তিনি যে ব্যক্তিদের বা গোষ্ঠীকে উল্লেখ করছেন, তারা অযৌক্তিক কারণে বিশৃঙ্খলা বা নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করছে। এটি যে কোন পরিচয়ের ব্যক্তি হতে পারে, তবে তা দেশের শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য বিপজ্জনক হতে পারে।
- আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা: সারজিস আলম আরও উল্লেখ করেন, “যে ব্যক্তি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করবে, সে যেই হোক না কেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রধান কাজ হবে তাদের প্রতিহত করা এবং জনমানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।” তাঁর মতে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাজ হচ্ছে, দেশের শান্তি বজায় রাখা এবং জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
সারজিস আলমের এই মন্তব্য দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি এবং জনস্বার্থের প্রতি গভীর গুরুত্ব দেওয়ার পরামর্শ দেয়। তিনি স্পষ্টভাবে মনে করেন যে, যেকোনো ধরনের নৈরাজ্য বা বিশৃঙ্খলা দেশের জন্য ক্ষতিকর এবং তা প্রতিহত করতে হবে। তাঁর পোস্টে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্বের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, যা দেশে শান্তি বজায় রাখার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এছাড়া, তিনি যে “যে পরিচয়েরই হোক না কেন” বলে উল্লেখ করেছেন, তাতে তিনি রাজনৈতিক বা সামাজিক গোষ্ঠীভেদে বিভেদ তৈরি না করার আহ্বান জানিয়েছেন। অর্থাৎ, দেশ ও জনগণের নিরাপত্তা সব দলের এবং সকল মানুষের উপর প্রযোজ্য এবং এটি কোনো একটি গোষ্ঠী বা ব্যক্তির জন্য বিশেষ নয়।
এটি একটি পরিষ্কার বার্তা যে, রাজনৈতিক বা সামাজিক অস্থিরতা, বা অনিয়মের কারণে যে কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে তা মোকাবিলা করা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ, এবং এটি দেশের কল্যাণে অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।