December 23, 2024
আমার ক্যারিয়ারে যত হিট সিনেমা সবগুলো ঈদ ছাড়াই এসেছে: শাকিব খান

আমার ক্যারিয়ারে যত হিট সিনেমা সবগুলো ঈদ ছাড়াই এসেছে: শাকিব খান

নভে ২৩, ২০২৪

শাকিব খানের সিনেমা ‘দরদ’ এর স্পেশাল স্ক্রিনিংটি ছিল একটি জমকালো আয়োজন, যা দেশের শীর্ষস্থানীয় তারকাদের উপস্থিতিতে অত্যন্ত সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, স্টার সিনেপ্লেক্সে আয়োজিত এই বিশেষ প্রদর্শনীটি শাকিব খানের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান রিমার্ক-হারল্যান এবং দেশের শীর্ষ হেলথ অ্যান্ড হাইজিন ব্র্যান্ড এখনল এর সৌজন্যে অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন দেশের জনপ্রিয় নায়ক-নায়িকারা, যেমন: সিয়াম, পূজা চেরী, সেমন্তি সৌমি, প্রার্থনা ফারদিন দীঘি, অর্চিতা স্পর্শিয়া, এবং ছবির পরিচালক অনন্য মামুন

এখানে শাকিব খান তার সিনেমার সাফল্য নিয়ে কথা বলেন। তিনি জানান, ‘দরদ’ এই বছরের সবচেয়ে বেশি ওপেনিং কালেকশন করেছে, যা এক ধরনের ইতিবাচক সংকেত। শাকিবের মতে, এটি প্রমাণ করে যে ঈদ ছাড়া সিনেমাও সুপারহিট হতে পারে। শাকিব তার ক্যারিয়ারের অন্যান্য সুপারহিট সিনেমা—যেমন ‘প্রিয়া আমার প্রিয়া’ এবং ‘কোটি টাকার কাবিন’—এর উল্লেখ করে বলেন, এই ছবিগুলোর সাফল্যও ঈদ ছাড়া ছিল। তার মতে, ঈদ ছাড়া সিনেমা সফল হওয়ার সম্ভাবনা বরাবরই বেশি ছিল, এবং ‘দরদ’ সেই ধারণাটিকে আরও একবার প্রমাণ করেছে।

এছাড়া, বিদেশি নায়িকাদের সঙ্গে কাজ করার বিষয়েও শাকিব সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন। তিনি বলেন, “আমি নিজেই দেখি, বিদেশি নায়িকাদের শিডিউল পাওয়া যায় না। কারণ, আমার জন্য বছরের মধ্যে দুই-তিনটা সিনেমা করা হয়ে থাকে, যার জন্য আমারও অনেকটা সময় প্রয়োজন। তবে আমাদের দেশের নায়িকারা অনেক বেশি কাজ করেন, তাই তাদের শিডিউল পাওয়া একটু কঠিন হয়ে পড়ে। তবে শিডিউল পেলে আবার কাজ করা হবে।”

এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উঠে এসেছে যা বাংলা চলচ্চিত্রের বর্তমান অবস্থা এবং শাকিব খানের ক্যারিয়ারের অগ্রগতি সম্পর্কে একটি ভালো ধারণা দেয়।

১. ঈদ ছাড়া সিনেমার সাফল্য:

শাকিবের বক্তব্য থেকে এটা স্পষ্ট যে, ‘দরদ’ শুধু ঈদ-উল-ফিতরের মতো বড় ছুটির সময়ের সিনেমা নয়, বরং বছরের অন্যান্য সময়েও সুপারহিট হতে পারে। তার ক্যারিয়ারের পুরনো হিট সিনেমাগুলোর উদাহরণ দিয়ে শাকিব প্রমাণ করেছেন যে, ঈদ ছাড়া সিনেমার বাণিজ্যিক সফলতা অর্জন সম্ভব, যদি ছবির কনটেন্ট শক্তিশালী হয় এবং দর্শকদের মধ্যে আগ্রহ থাকে।

২. বাংলাদেশি নায়িকাদের কাজের ব্যস্ততা:

শাকিবের বিদেশি নায়িকাদের সঙ্গে কাজ করতে না পারার কারণ হিসেবে বাংলাদেশের নায়িকাদের ব্যস্ততা এবং শিডিউল সমস্যা তুলে ধরেছেন। বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি এখনো এমন পর্যায়ে পৌঁছাতে পারেনি, যেখানে একাধিক ছবির জন্য বিদেশি নায়িকাদের সিডিউল সহজেই পাওয়া যায়। অন্যদিকে, দেশের নায়িকারা অধিক পরিমাণ কাজের ব্যস্ততায় থাকেন, যা শাকিবের জন্য কিছুটা চ্যালেঞ্জ তৈরি করে।

৩. শাকিব খানের প্রভাব:

এটি স্পষ্ট যে শাকিব খানের চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট প্রভাব রয়েছে, এবং তিনি যেখানেই উপস্থিত হন, সেখানকার সিনেমা বক্স অফিসে ভালো ফলাফল করতে পারে। তার নিজের ক্যারিয়ারের সাফল্য এবং তার প্রভাবের কারণে বাংলা সিনেমার শিল্পীরা এবং পরিচালকেরা আশাবাদী।

৪. ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির ভবিষ্যত:

এই ধরনের বিশেষ স্ক্রিনিংগুলো চলচ্চিত্রের প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং বাংলাদেশের সিনেমা শিল্পের উন্নতি এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনার সৃষ্টি করে। বাংলাদেশের সিনেমার ব্যবসায়িক দৃষ্টিকোণ এবং শিল্পের প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধির জন্য এরকম অনুষ্ঠানগুলো গুরুত্বপূর্ন।

এখন প্রশ্ন উঠতে পারে, ‘দরদ’ সিনেমা কি এই পরিস্থিতিতে আরও বড় সাফল্য পাবে? এবং ভবিষ্যতে বাংলাদেশের সিনেমায় কি আরও বেশি বিদেশি অংশগ্রহণ বা আন্তর্জাতিক সহযোগিতা হবে? এসবই সময়ের সাথে সাথে পরিস্কার হবে।

Leave a Reply