লাগাতার হুমকির মাঝেই ভোট কেন্দ্রে সালমান, মেটালেন ভক্তের আবদার
সালমান খানের ওপর হামলা এবং হত্যার হুমকির ঘটনা আবারও খবরের শিরোনামে এসেছে। গত কয়েক মাস ধরে সালমান খান এবং তার পরিবার নিয়মিতভাবেই প্রাণনাশের হুমকির সম্মুখীন হচ্ছেন। এই হুমকির মূল উৎস হিসেবে দেখা যাচ্ছে, বিষ্ণোই গ্যাং, যারা ১৯৯৮ সালের কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলার সঙ্গে জড়িত এবং সালমানকে টার্গেট করছে। এমনকি সালমানের উপর হামলা ও খুনের হুমকি দিতে তারা একাধিক বার শিরোনামে এসেছে।
তবে, এসব হুমকি সত্ত্বেও সালমান খান দমে যাননি। সম্প্রতি মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচনে ভোট দিতে যাওয়ার সময়, তিনি ভয়কে অগ্রাহ্য করে যথারীতি ভোট দেন। এবং, এই ঘটনা আবার প্রমাণ করে দিল যে তিনি মানুষের ভালোবাসা এবং ভক্তদের সঙ্গে যে বিশেষ সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন, তা কখনোই ভাঙা যাবে না। বুধবার, ২০ নভেম্বর, সালমান বান্দ্রার মাউন্ট মেরি হাইস্কুলে ভোট দিতে যান এবং সেখানে তার উপস্থিতি দেখে ভক্তদের মধ্যে এক ধরনের উচ্ছ্বাস দেখা যায়। ভোটের দিন, সালমান নিজেও নিজের “দাবাং” মেজাজে ছিলেন—ধূসর রঙের টি-শার্ট, ডেনিম জিনস এবং কালো টুপি পরে, সেলফি তোলার জন্য তার ভক্তদের আবদার মেটালেন তিনি।
সালমানের নিরাপত্তা পরিস্থিতি:
সালমান খান এখন “ওয়াই” ক্যাটাগরি নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে থাকেন, যার মানে হল যে তার নিরাপত্তা বাহিনী অত্যন্ত কড়া। তবে, ভোটের দিনেও, তিনি নিরাপত্তা বলয় ভেঙে জনতার মধ্যে গিয়ে ভক্তদের সঙ্গে ছবিও তুলেছেন। এই দৃশ্য দেখিয়ে তিনি বুঝিয়ে দিলেন যে, যদিও তার ওপর হত্যার হুমকি রয়েছে, তবুও তিনি মানুষের ভালোবাসা থেকে বিচ্ছিন্ন হবেন না।
বিষ্ণোই গ্যাং এবং হামলার ঘটনা:
সালমানের বিরুদ্ধে বিষ্ণোই গ্যাংয়ের শত্রুতা নতুন কিছু নয়। ১৯৯৮ সালে হাম সাথ সাথ হ্যায় ছবির শুটিং চলাকালীন রাজস্থানের কঙ্কানি গ্রামে কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার ঘটনায় নাম জড়িয়ে যাওয়ার পর থেকে তার প্রতি শত্রুতা তৈরি হয়। বিষ্ণোই গ্যাংয়ের নেতা লরেন্স বিষ্ণোই বারবার সালমানকে হত্যার হুমকি দিয়েছে। ২০২৩ সালে বিষয়টি আরো জটিল হয়ে উঠেছে, যখন সালমানের বাসার সামনে গুলি চালানো হয়, গায়কের বাড়িতে হামলা হয় এবং গত সপ্তাহে সালমানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু বাবা সিদ্দিকিরও খুন হয়।
সালমান খান একে একে সমস্ত চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছেন, তবে তিনি কখনও তার ব্যক্তিত্ব বা জনপ্রিয়তা থেকে সরেননি। বরং, ভয় ও হুমকির বিরুদ্ধে লড়াই করে তিনি নিজের পথ চলছেন, যা তার ভক্তদের কাছে একটি বড় প্রেরণা। কিন্তু, এই ধরনের পরিস্থিতি বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্প এবং পুরো বিশ্বেই একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তুলে দেয়—সেলিব্রিটিদের নিরাপত্তা কতটুকু নিশ্চিত করা হচ্ছে এবং অপরাধী গ্যাংদের বিরুদ্ধে কী ধরনের কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।