ধর্ষণের অভিযোগে নরওয়ের ক্রাউন প্রিন্সেসের ছেলে গ্রেপ্তার
নরওয়ের ক্রাউন প্রিন্সেস মেটে-ম্যারিটের ছেলে মারিয়াস বোর্গ হোইবির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে, যা নরওয়ে পুলিশ নিশ্চিত করেছে। ২৭ বছর বয়সী মারিয়াসের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি এমন একজন নারীকে যৌনাচারে লিপ্ত হয়েছেন, যিনি অচেতন ছিলেন বা যাঁর শরীরের অবস্থা এমন ছিল যে তিনি বাধা দিতে পারেননি। তবে, পুলিশের মতে, মারিয়াস ‘সহবাস’ করেননি। অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, ঘটনাটি ঘটে এমন এক তরুণীর সঙ্গে, যার বয়স বিশের কোঠায়। ওই তরুণী মারিয়াসকে আগে জানতেন না এবং তাঁরা সেদিনই একে অপরকে দেখতে পান।
মারিয়াসের বিরুদ্ধে আরও গুরুতর অভিযোগ রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে চারজন নারী এবং এক পুরুষের সঙ্গে একাধিক অপরাধ সংঘটনের অভিযোগ। তিনটি নারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক থাকার পরও তাঁদের বিরুদ্ধে নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া, মারিয়াসের বিরুদ্ধে এক তরুণকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে।
এ ঘটনায় গত সোমবার রাতে পুলিশ মারিয়াসকে গ্রেপ্তার করে, এবং মঙ্গলবার সকালে তিনি বন্দিশালায় ছিলেন। মারিয়াসের আইনজীবী এ বিষয়ে মন্তব্য করেছেন যে, তাঁর মক্কেল নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
মারিয়াসের জন্ম ১৯৯৭ সালে, এবং তিনি মেটে-ম্যারিট ও যুবরাজ হোক্কন দম্পতির সন্তান। তাঁদের আরও দুটি সন্তান রয়েছে—২০ বছর বয়সী রাজকুমারী ইনগ্রিড আলেকজান্দ্রা ও ১৮ বছর বয়সী রাজকুমার সার্ভার ম্যাগনাস। তবে, মারিয়াসের রাজকীয় দায়িত্বের কোনো আনুষ্ঠানিকতা নেই, এবং তিনি অন্যদের মতো রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করেন না।
এই ঘটনার পর নরওয়ের রাজপরিবারের ভেতরে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে, বিশেষত একটি উচ্চপদস্থ সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে রাজপরিবারের ভাবমূর্তি ও আস্থার ওপর তার কী প্রভাব পড়বে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।