বিয়ের ছবি ভাইরাল, ফোন বন্ধ তৌহিদ আফ্রিদির!
তৌহিদ আফ্রিদি, বাংলাদেশের জনপ্রিয় কন্টেন্ট ক্রিয়েটর, বর্তমানে গণমাধ্যমে তেমনভাবে নজর পড়ছেন না। বিশেষত শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর তার কোনো দৃশ্যমান সক্রিয়তা নেই। এর আগে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকালে সরকারের পক্ষে কাজ করার গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল, যা এখনও কিছু মিডিয়া পাড়ায় জিইয়ে রয়েছে। তবে, সম্প্রতি তিনি আবারও আলোচনায় এসেছেন তার ব্যক্তিগত জীবন, বিশেষত বিয়ের খবর নিয়ে।
হঠাৎ করেই, তৌহিদ আফ্রিদির বেশ কয়েকটি বিয়ের ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ছবিগুলোতে তাকে কনের সঙ্গে দেখা যায় এবং বর-কনের একসঙ্গে আহার অনুষ্ঠান, ছবি তোলা, এমনকি বধূবরণ করার মুহূর্তও ধরা পড়ে। তবে, এই বিয়ের সম্পর্কিত কোনো আনুষ্ঠানিক তথ্য বা বিবরণ সামাজিক মাধ্যমে পাওয়া যায়নি, যা ছবিগুলোর আসল প্রেক্ষাপট নিয়ে কিছুটা রহস্য সৃষ্টি করে।
এমনকি, ছবিগুলো দেখে এটি ধারণা করা যায় যে, এগুলো টিকটক থেকে এসেছে। তৌহিদ আফ্রিদির স্ত্রীর নাম রাইসা, যিনি টিকটকে জনপ্রিয়, এবং অনেকদিন ধরেই তাদের মধ্যে প্রেমের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। তবে, তৌহিদ আফ্রিদি বারবারই এসব গুঞ্জন অস্বীকার করে এসেছেন। এখন, যখন বিয়ের ছবিগুলো সামনে এসেছে, তখন নেটিজেনদের কাছে বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
তবে, বিয়ের ছবিগুলো প্রকাশিত হলেও, কবে বা কোথায় এই বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে, সে সম্পর্কে কোনো স্পষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। এ নিয়ে এক ধরনের ধোঁয়াশা রয়েছে। বুধবার সকাল থেকে তৌহিদ আফ্রিদির সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও, তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া গেছে। এটি আরও একবার সন্দেহের সৃষ্টি করেছে যে, তিনি বর্তমানে গণমাধ্যমে বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেকে আড়াল করেছেন, বা হয়তো ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চান না।
তৌহিদ আফ্রিদির গোপনীয়তা এবং তার সাম্প্রতিক আড়ালে থাকা অবস্থান কিছুটা রহস্যজনক। একদিকে, তার জনপ্রিয়তা ও সামাজিক প্রভাব, অন্যদিকে ব্যক্তিগত জীবনের বিষয়ে তেমন কোনো তথ্য প্রকাশ না করা—এই দুই বিষয়ই তার পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে। বিয়ের ছবির মতো ব্যাপারে অনুপস্থিত তথ্য বা স্বীকৃতির অভাব, এটি তার জীবনকে একটি বিশেষ গোপনীয়তায় নিয়ে এসেছে। এভাবে, তার ফ্যান ফলোয়ার্স এবং নেটিজেনরা তাকে আরও একটি নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে শুরু করেছে।
তবে, এই ধরণের গুঞ্জন বা ছবি প্রকাশ পেলে এবং তা এভাবে আলোচনায় আসে, তা স্বাভাবিকভাবেই তার সামাজিক অবস্থান ও জনপ্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ তৈরি করে। তৌহিদ আফ্রিদির চলমান পরিস্থিতি হয়তো ভবিষ্যতে আরও স্পষ্ট হবে, তবে এই মুহূর্তে তার মুখ না খুললেও, নেটিজেনরা তাদের অনুমান ও আলোচনা চালিয়ে যাবে।