২২ বছর পর অস্ট্রেলিয়ায় পাকিস্তানের সিরিজ জয়
২০০২ সালে, পাকিস্তান দল যখন অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ওয়ানডে সিরিজ জিতেছিল, তখন সাইম আইয়ুবের বয়স ছিল মাত্র এক মাস, আর নাসিম শাহ তো তখন জন্মই নেননি। সেই সিরিজের পর, ২২ বছর পর ২০২৪ সালে পাকিস্তান আবার অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সিরিজ জয়লাভ করল। পার্থে সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়াকে ৮ উইকেটে হারিয়ে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছে মোহাম্মদ রিজওয়ানের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান দল।
অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে এটি পাকিস্তানের দ্বিতীয় সিরিজ জয়, যেখানে তারা প্রথমে টসে হেরে অস্ট্রেলিয়াকে ব্যাটিংয়ে পাঠায়। পাকিস্তানের চার পেসারের দুর্দান্ত বোলিংয়ে অস্ট্রেলিয়া ৩১.৫ ওভারে মাত্র ১৪০ রানে গুটিয়ে যায়, যা তাদের ওয়ানডে ইতিহাসে পাকিস্তানের বিপক্ষে সর্বনিম্ন স্কোর। পাকিস্তানের বোলাররা সুনিপুণভাবে বল হাতে আধিপত্য বিস্তার করেন, হারিস রউফ ৩ ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়ে সিরিজের সেরা বোলার হন। অন্য পেসাররা—শাহিন আফ্রিদি (৮), নাসিম শাহ (৫), হাসনাইন (৩)—এছাড়া অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যানদের জন্য রান করা ছিল কঠিন।
পাকিস্তানের দুই ওপেনার সাইম আইয়ুব (৪২) এবং আবদুল্লাহ শফিক (৩৭) মিলে ৮৪ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়ে দলকে জয় শিকার করে। পরবর্তীতে বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান ৫৮ রানের অপরাজিত জুটি গড়ে পাকিস্তানকে লক্ষ্যে পৌঁছে দেন।
অস্ট্রেলিয়ার বোলিংয়ে মরিস ২ উইকেট নিলেও তাদের ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতা চোখে পড়েছে। সিরিজের প্রতিটি ম্যাচেই অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যানদের সংগ্রহ খুবই কম ছিল, যার গড় ছিল মাত্র ১৬.৮৮। এই সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার কোনো ব্যাটসম্যানই ফিফটি করতে পারেননি, যা তাদের ওয়ানডে ইতিহাসে একটি প্রথম।
এই সিরিজে পাকিস্তান অবশ্য তার শক্তি দেখিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে একতরফা হারিয়ে দেয়, আর তা সম্ভব হয়েছিল তাদের পেস আক্রমণ ও ব্যাটসম্যানদের দৃঢ়তায়। ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর পাকিস্তানের জন্য ছিল একটি বড় পরীক্ষা, এবং তারা সফলভাবে তা পাড়ি দিয়েছে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
অস্ট্রেলিয়া: ৩১.৫ ওভারে ১৪০/৯ (অ্যাবট ৩০, শর্ট ২২, জাম্পা ১৩; আফ্রিদি ৩/৩২, নাসিম ৩/৫৪)
পাকিস্তান: ২৬.৫ ওভারেই ১৪৩/২ (সাইম ৪২, শফিক ৩৭, রিজওয়ান ৩০*; মরিস ২/২৪)
ফল: পাকিস্তান ৮ উইকেটে জয়ী
সিরিজ: পাকিস্তান ২-১ ব্যবধানে জয়ী