তৌহিদ আফ্রিদির সঙ্গে প্রেম নিয়ে আবার প্রশ্নের মুখে, জবাব দিলেন দীঘি
দেশের প্রেক্ষাগৃহে সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে চরকি প্রযোজিত নতুন ছবি ‘৩৬ ২৪ ৩৬’, যেখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন প্রার্থনা ফারদীন দীঘি। এই ছবিতে তিনি তাঁর ঘরানার বাইরের একটি চরিত্রে অভিনয়ের চেষ্টা করেছেন এবং নতুন কিছু দেওয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করেছেন। তার অভিনয়ের দক্ষতা এবং নতুন উদ্যমের জন্য সম্প্রতি তিনি একটি সম্মাননা পেয়েছেন—‘বেস্ট ইন্সপায়ারিং অ্যাক্টর’ পুরস্কার। ছবির মুক্তি এবং পুরস্কার প্রাপ্তির অনুভূতি জানাতে গিয়ে দীঘি আবারও প্রশ্নের সম্মুখীন হন তাঁর ব্যক্তিগত জীবন এবং তৌহিদ আফ্রিদির সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে।
তৌহিদ আফ্রিদির সঙ্গে সম্পর্ক
ইউটিউবার ও কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদি বেশ আলোচিত চরিত্র। ছাত্র আন্দোলন এবং সরকার পতনের সময় থেকে তার উপস্থিতি মিডিয়াতে ছিল বেশ সুস্পষ্ট, তবে গত কিছুদিন ধরে তিনি কিছুটা নীরব। এ কারণে অনেকের মনে প্রশ্ন ছিল, দীঘির সঙ্গে কি এখনো আফ্রিদির সম্পর্ক এবং যোগাযোগ রয়েছে?
এ বিষয়ে দীঘি খোলামেলা জবাব দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, ‘তৌহিদ আফ্রিদির সঙ্গে এখনো আমার ভালো বন্ধুত্ব রয়েছে। বন্ধুত্বের কোনো সময় থাকে না, এটা এমন কিছু নয় যে এখন বন্ধুত্ব আছে, পরে থাকবে না। আফ্রিদি সব সময় আমার বন্ধু থাকবে। আমাদের মধ্যে বন্ধুত্ব নিয়ে অনেক কথা হয়, কিন্তু আমি মনে করি এটা অনেকটাই মনগড়া। সব মিলিয়ে, আফ্রিদি সবসময় আমার ভালো বন্ধু ছিল, আছে, থাকবে।’
পুরস্কার প্রাপ্তি
‘বেস্ট ইন্সপায়ারিং অ্যাক্টর’ পুরস্কার পাওয়ার পর দীঘি বলেন, “আমি জানি না, সবাইকে কতটা অনুপ্রাণিত করতে পারি, তবে আমি সব সময় চেষ্টা করি আমার কাজ দিয়ে কিছু ভালো উপহার দিতে। পুরস্কারটা আমার কাছে অনেক বড় অনুপ্রেরণা, কারণ এটা আমাকে আরও ভাল কাজ করতে প্রেরণা দেয়।” দীঘি জানান, যখন তাঁর নাম ঘোষণা করা হয়, প্রতিটি পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে তার অনুভূতি অন্যরকম—“এটা আমাকে অনেক বেশি প্রেরণা দেয় এবং খুব ভালো লাগে।”
সমালোচনার বিষয়ে দীঘি
তারকাদের নিয়ে সমালোচনা নতুন কিছু নয় এবং দীঘি এই বিষয়েও নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন। তিনি বলেন, “যে তারকা নিয়ে আলোচনা হয়, তাকে নিয়ে সমালোচনা হবেই। আমি কখনও এগুলো গায়ে মাখি না। শুরুর দিকে এসব বিষয় আমাকে মন খারাপ করত, তবে এখন আমি এগুলো সহজভাবে নিতেই শিখেছি। এসব সয়ে গেছে, আর যাদের উদ্দেশ্য শুধু সমালোচনা, তারা তা করেই যাবে।” দীঘি আরও বলেন, “আমি শুধু কাজ করতে চাই এবং সেটাতেই মনোযোগী আছি। যেসব সমালোচনা অকারণ, সেগুলোর প্রতি আমি মনোযোগ দিই না।”
দীঘির ক্যারিয়ার
দীঘি শিশুশিল্পী হিসেবে বড় পর্দায় পদার্পণ করেন এবং কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করে প্রশংসা কুড়ান। শিশুশিল্পী হিসেবে তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছেন। ২০২১ সালে তিনি নায়িকা হিসেবে অভিনয়ে আত্মপ্রকাশ করেন ‘তুমি আছো তুমি নেই’ ছবির মাধ্যমে, যা পরিচালনা করেন দেলোয়ার জাহান ঝন্টু। এরপর তিনি ‘টুঙ্গিপাড়ার মিয়াভাই’ এবং ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ ছবিতে অভিনয় করেছেন। দীঘি তার ক্যারিয়ারে একাধিক সফল ছবি উপহার দিয়েছেন এবং তার অভিনয়ের দক্ষতা দর্শকদের প্রশংসা অর্জন করেছে।
এভাবে দীঘি তার ক্যারিয়ার, ব্যক্তিগত জীবন এবং কাজের ব্যাপারে খোলামেলা মন্তব্য করেছেন, যা প্রমাণ করে তিনি একজন পরিপূর্ণ অভিনেত্রী এবং একজন দায়িত্বশীল তারকা।