আলিয়াকেও এমন দিন দেখতে হলো
আলিয়া ভাটকে আমরা যেমন বাণিজ্যিক ছবিতে দেখেছি, তেমনি ভিন্নধারার সিনেমাতেও তাঁর অভিনয় দর্শকদের মুগ্ধ করেছে। ‘রকি অউর রানি কি প্রেমকাহিনি’র মতো পূর্ণ বাণিজ্যিক ছবির পাশাপাশি আলিয়া কাজ করেছেন ‘হাইওয়ে’ ও ‘রাজি’র মতো সিনেমায়। আলিয়ার অভিনীত ছবি মানেই বক্স অফিসে ১০০ কোটির বেশি আয়ের নিশ্চয়তা বলে একটা ধারণা ছিল। তবে তাঁর সর্বশেষ ছবি ‘জিগরা’ সেই ধারায় ব্যতিক্রম হিসেবে দেখা দিয়েছে।
হিন্দি সিনেমা ইদানীং তেমন সাফল্য পাচ্ছে না, কিন্তু আলিয়া ভাট ছিলেন এর ব্যতিক্রম। সঞ্জয়লীলা বানসালির ‘গাঙ্গুবাঈ কাঠিয়াবাড়ি’ ছবির প্রধান চরিত্রে আলিয়াকে মানাবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ ছিল অনেকের। অন্য বড় তারকার অনুপস্থিতিতে আলিয়ার কাঁধে ভর করেই ১০০ কোটি রুপি বাজেটের সিনেমাটি মুক্তি পায় এবং শেষ পর্যন্ত ২০০ কোটিরও বেশি আয় করে। এরপর আসে ‘আরআরআর’, যা ইতিহাস গড়ে। ছবিটি ১৩০০ কোটিরও বেশি ব্যবসা করে এবং অস্কারও অর্জন করে।
আলিয়ার পরবর্তী দুটি সিনেমা ‘ব্রহ্মাস্ত্র: পার্ট ওয়ান-শিব’ ও ‘রকি অউর রানি কি প্রেমকাহিনি’ও দারুণ সাফল্য পায়। এছাড়া তাঁর প্রযোজিত ও অভিনীত ওটিটি রিলিজ ‘ডার্লিংস’ সমালোচকদের কাছ থেকে প্রশংসা কুড়ায়। টানা সাফল্যের মাঝে এবার ‘জিগরা’ ছবির ব্যর্থতা আলিয়াকে চমকে দিয়েছে। প্রায় ৯০ কোটি রুপি বাজেটের অ্যাকশন থ্রিলার ‘জিগরা’ ছবিটি বক্স অফিসে মাত্র ৫০ কোটির কিছু বেশি আয় করতে পেরেছে।
‘জিগরা’ ছবিতে এক ভাইকে বাঁচানোর জন্য বোনের সংগ্রামের কাহিনি তুলে ধরা হয়েছে। সমালোচকেরা আলিয়ার অভিনয়ের প্রশংসা করলেও ছবির ব্যর্থতার জন্য দুর্বল চিত্রনাট্যকে দায়ী করছেন। বক্স অফিস বিশ্লেষকদের মতে, ছবির আবেগ দর্শকদের স্পর্শ করতে পারেনি বলেই সাফল্য পায়নি।