চমক দেবেন টম ক্রুজ, হাতে রয়েছে যে কাজ
বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় হলিউড তারকা টম ক্রুজ। চার দশকের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে তিনি একের পর এক সফল সিনেমায় অভিনয় করেছেন। টম ক্রুজ মানেই যেন ‘মিশন ইম্পসিবল’ ফ্র্যাঞ্চাইজি। টিভি সিরিজ থেকে অনুপ্রাণিত এ সিনেমার মাধ্যমে হলিউড পেয়েছে নতুন এক সিক্রেট এজেন্ট, ইথান হান্ট। এই ফ্র্যাঞ্চাইজি, তার দুর্ধর্ষ অ্যাকশন চিত্রনাট্য আর ক্রুজের চ্যালেঞ্জিং স্ট্যান্টের জন্য আধুনিক ব্লকবাস্টার স্পাই সিনেমার ধারায় আলাদা মাত্রা যোগ করেছে।
‘মিশন ইম্পসিবল’ সিরিজের প্রতিটি কিস্তিতে ইথান হান্ট চরিত্রে ক্রুজের দুর্দান্ত স্ট্যান্ট দেখতে পান দর্শক। আবারও নতুন গল্প নিয়ে সিরিজে হাজির হতে যাচ্ছেন তিনি। শুরুতে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান প্যারামাউন্ট পিকচার ‘মিশন: ইম্পসিবল – ডেড রেকনিং পার্ট ২’ কে সিরিজের শেষ সিনেমা হিসেবে ভাবলেও ক্রুজ ইথান হান্টকে বিদায় জানাতে রাজি নন। দর্শক যতদিন চাইবে, ততদিন তিনি এ সিরিজে অভিনয় করতে চান।
এছাড়া, বিখ্যাত মেক্সিকান পরিচালক আলেহান্দ্রো গনজালেস ইনারিতুর পরবর্তী সিনেমায় দেখা যাবে টম ক্রুজকে। আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না এলেও চলচ্চিত্রবিষয়ক মাধ্যম ভ্যারাইটি ও ডেডলাইন এ খবর নিশ্চিত করেছে। ‘২১ গ্রামস’, ‘বাবেল’, ‘বিউটিফুল’, ‘বার্ডম্যান’, এবং ‘দ্য রেভেন্যান্ট’-এর মতো সিনেমার পরিচালক ইনারিতু আধুনিক সিনেমার অন্যতম প্রভাবশালী নাম এবং দু’বার সেরা পরিচালকের অস্কার জিতেছেন। ‘দ্য রেভেন্যান্ট’-এর পর এটি হতে যাচ্ছে তার প্রথম ইংরেজি ভাষার সিনেমা, যা কঠোর গোপনীয়তার মধ্যে তৈরি হচ্ছে।
এর পাশাপাশি, টম ক্রুজ তার ১৯৯০ সালের জনপ্রিয় সিনেমা ‘ডেজ অফ থান্ডার’-এর সিকুয়াল নির্মাণের জন্য কাজ শুরু করেছেন। সাম্প্রতিক সময়ে প্যারামাউন্টের সঙ্গে সিনেমাটি পুনরায় তৈরির বিষয়ে আলোচনা করছেন তিনি। মূল সিনেমাটি বক্স অফিসে ৬০ মিলিয়ন ডলার বাজেটে ১৫৭ মিলিয়ন ডলার আয় করেছিল। ‘টপ গান: ম্যাভেরিক’-এর সাফল্যের পর ক্রুজ মনে করেন যে ‘ডেজ অফ থান্ডার’-এর নতুন কিস্তিও সফল হবে। রেসিং সিনেমার প্রতি দর্শকদের আগ্রহ বৃদ্ধির কারণে এর চিত্রনাট্য লেখা শুরু হয়েছে।