December 23, 2024
খেলছে সিন্ডিকেট, বাগে নেই চালের বাজার

খেলছে সিন্ডিকেট, বাগে নেই চালের বাজার

নভে ৩, ২০২৪

সরকারের নানা উদ্যোগ সত্ত্বেও চালের বাজারে স্থিতি আসছে না। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত এক মাসে চালের দাম সর্বোচ্চ ৮ শতাংশ বেড়েছে। বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরির পেছনে সিন্ডিকেটের সক্রিয় ভূমিকা দেখা যাচ্ছে। তাদের এই কারসাজিতে সরকারের ইতিবাচক পদক্ষেপ ব্যর্থ হয়ে যাচ্ছে।

উৎপাদন ও চাহিদার পরিসংখ্যান

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশের বার্ষিক চালের চাহিদা ৩ কোটি ৭০ থেকে ৩ কোটি ৯০ লাখ টন। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে উৎপাদন ৪ কোটি ২০ লাখ টন হয়েছে, যা চাহিদার চেয়ে প্রায় ৩০ লাখ টন বেশি। তবে সাম্প্রতিক বন্যার কারণে ৮ লাখ ৩৯ হাজার টন চালের উৎপাদন ব্যাহত হয়। এরপরও বাজারে চালের সংকট নেই।

বাজারে সিন্ডিকেটের প্রভাব

সরবরাহ কমিয়ে সিন্ডিকেট কৃত্রিমভাবে চালের দাম বাড়াচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। বড় করপোরেট প্রতিষ্ঠান, সরকারের সুবিধাভোগী মিলার এবং পাইকারি ব্যবসায়ীরা এর সঙ্গে জড়িত। ঢাকার বাদামতলী, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট এবং কারওয়ান বাজারে বেশ কয়েকজন বড় ব্যবসায়ীও এই সিন্ডিকেটের অংশ।

দাম বাড়ার ধারা

বাজারে সবচেয়ে বেশি চাহিদা থাকা মাঝারি ও মোটা চালের দাম অতীতে তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। বর্তমানে ঢাকায় মাঝারি চালের দাম কেজি প্রতি ৫৮-৬৪ টাকা, মোটা চাল ৫২-৫৫ টাকা, এবং চিকন চাল ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মজুতদারির মাধ্যমে কৃত্রিম সংকট

নওগাঁসহ বিভিন্ন এলাকায় অবৈধভাবে বিপুল পরিমাণ চাল মজুত করে রেখেছে কিছু চালকল মালিক ও ব্যবসায়ী। এতে চালের দাম আরও বাড়ছে। কিছু বড় প্রতিষ্ঠানের গুদামে হাজার হাজার টন চাল মজুত থাকার পরও তারা বাজারে সরবরাহ কমাচ্ছে।

আমদানি কমার কারণ

সরকার চাল আমদানিতে কর ছাড় দিয়েছে, তবে এর পরও আমদানির পরিমাণ কম। এর পেছনে সিন্ডিকেটের প্রভাব থাকতে পারে। তারা বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরির জন্য অন্যদের আমদানিতে নিরুৎসাহিত করছে।

সরকারি হুঁশিয়ারি

খাদ্য সচিব মাসুদুল হাসান জানিয়েছেন, চালের কোনো সংকট নেই। কিছু ব্যবসায়ী কৃত্রিম সংকট তৈরির মাধ্যমে বাজারকে অস্থিতিশীল করতে চাইছে। এ পরিস্থিতিতে সরকার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে এবং আইনের সর্বোচ্চ প্রয়োগ করবে।

Leave a Reply