December 23, 2024
টি-টোয়েন্টি লিগের দুর্নীতিবিরোধী ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন, আলোচনায় বিপিএলও

টি-টোয়েন্টি লিগের দুর্নীতিবিরোধী ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন, আলোচনায় বিপিএলও

নভে ১, ২০২৪

আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী নীতিমালা মানছে না এমন কিছু ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি লিগ নিয়ে অভিযোগ তুলেছেন সংস্থাটির সাবেক কর্মকর্তা স্টিভ রিচার্ডসন। আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী ইউনিটে সাত বছর ধরে তদন্ত সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করেছেন রিচার্ডসন, যিনি গত বছর আইসিসি থেকে বিদায় নেন। তিনি জানান, কিছু লিগের আয়োজক ও ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকদের দুর্নীতির বিষয়ে আইসিসি উদ্বিগ্ন।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফের “কীভাবে ক্রিকেট নিজেকেই খেয়েছে” শিরোনামের প্রতিবেদনে এই দুর্নীতির ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। সেখানে বাংলাদেশের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) বিষয়েও উল্লেখ রয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, বিপিএল দুর্নীতিবিরোধী কার্যক্রমে আইসিসির সঙ্গে অংশীদারিত্ব না করে স্বল্প খরচে নিজেরাই এ কার্যক্রম পরিচালনা করে। তবে, এ প্রক্রিয়া যথেষ্ট নয় বলে মনে করেন অনেক বিশ্লেষক। গত দুই বছরে বিপিএলে ৩০টির বেশি দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, কিন্তু কোনো খেলোয়াড়কে নিষিদ্ধ করা হয়নি। এমনকি অভিযুক্ত খেলোয়াড়রা অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার আগেই খেলতে থাকেন।

টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে একজন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বলেন, অনেক খেলোয়াড় দুর্নীতির অভিযোগ জানাতে ভয় পান, কারণ তাঁরা পারিশ্রমিক না পাওয়ার শঙ্কায় থাকেন এবং নিজেদের নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বিগ্ন থাকেন। বেশিরভাগ সময়েই সরাসরি তাদের কাছে কেউ প্রস্তাব নিয়ে এলে তাঁরা অভিযোগ করেন, কিন্তু সন্দেহের ভিত্তিতে খুব কম খেলোয়াড়ই মুখ খোলেন।

রিচার্ডসন বলেন, ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো নিজেদের মতো করে দুর্নীতিবিরোধী কার্যক্রম পরিচালনা করায় ঝুঁকি থাকে, কারণ এতে নিয়মকানুন ঠিকমতো কার্যকর হয় না। আইসিসি থেকে আলাদা হয়ে কোনো দুর্নীতিবিরোধী কর্মকর্তা মাঠে থাকলেই সব সুরক্ষা নিশ্চিত হয় না। তিনি দুর্নীতি রোধে বোর্ডগুলোর আরও দায়িত্বশীল ভূমিকার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তাঁর মতে, বিশ্বজুড়ে সব লিগ দুর্নীতিগ্রস্ত নয়, বরং অনেক ভালো উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করছেন, তবে কখনো কখনো তাঁরা বুঝতেও পারেন না তাদের কার্যক্রমে দুর্বলতা থাকতে পারে।

Leave a Reply