মুমিনুলের ফিফটিতে প্রথম সেশন পার
চট্টগ্রাম টেস্টে দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের প্রদর্শনীতে ৬ উইকেটে ৫৭৫ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। বিপরীতে দ্বিতীয় দিনের শেষ বেলায় ৯ ওভার ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৩৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ। তৃতীয় দিনের সকালে ৩৩ বল খেলে স্কোরবোর্ডে ১০ রান যোগ করতেই আরও ৪ উইকেট হারিয়েছে টাইগাররা। প্রথম সেশন শেষে ক্রিজে রয়েছেন মুমিনুল হক ও তাইজুল ইসলাম।
বাংলাদেশ ৩৭ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৭ রান সংগ্রহ করেছে। ক্রিজে থাকা মুমিনুল হক ৭৪ রান নিয়ে খেলছেন, সঙ্গে থাকা তাইজুলের রান ১৮। দক্ষিণ আফ্রিকার তুলনায় এখনও বাংলাদেশ ৪৩৮ রানে পিছিয়ে।
ব্যাটিং বিপর্যয়ে বাংলাদেশ
চট্টগ্রামের উইকেট সাধারণত ব্যাটিং সহায়ক হলেও বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ে নামতেই চিত্র পাল্টে গেছে। দক্ষিণ আফ্রিকা যেখানে রানের পাহাড় গড়েছে, সেখানে বাংলাদেশের শুরুর ব্যাটাররা একের পর এক ফিরে গেছেন। দ্বিতীয় দিনের শেষ বেলায় সাদমান ইসলাম শূন্য রানে আউট হন। জাকির আলী করেন মাত্র ২ রান, আর অন্য ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় ১০ রানে ফিরে যান। নাইট ওয়াচম্যান হাসান মাহমুদও ৩ রান করে বোল্ড হন। তৃতীয় দিন সকালে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ৯ রানে আউট হন, অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম করেন শূন্য, মেহেদী হাসান মিরাজ ১ রানে ফিরেছেন এবং অভিষিক্ত মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনও রানের খাতা খুলতে পারেননি।
রাবাদার ফাইফার
এই টেস্টে কাগিসু রাবাদা দারুণ ফর্মে আছেন। ঢাকা টেস্টে ৯ উইকেট নেওয়ার পর র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে উঠেছেন তিনি। চট্টগ্রামেও দুর্দান্ত বোলিং করে ষষ্ঠ ওভারে নিয়েছেন ৫ উইকেট। তাঁর সঙ্গে ডেন পিটারসেন ২ উইকেট নিয়ে প্রোটিয়া বোলিং আক্রমণকে শক্তিশালী করেছেন।
প্রোটিয়াদের তিন সেঞ্চুরি
চট্টগ্রাম টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার তিনজন ব্যাটার ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি করেন। ওপেনার টনি ডি জর্জি খেলেছেন ১৭৭ রানের অসাধারণ ইনিংস। তিনে নেমে ত্রিস্তান স্টাবস করেন ১০৬ রান, আর ওয়ান মুলডার ১০৫ রান করার পর দক্ষিণ আফ্রিকা ইনিংস ঘোষণা করে। এটি দ্বিতীয়বারের মতো, যখন এক টেস্টে তিনজন প্রোটিয়া ব্যাটার প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পেলেন।