লিয়ামের মৃত্যুর পর টপ চার্টে ফিরল ওয়ান ডিরেকশনের গান
ব্রিটিশ ব্যান্ড ওয়ান ডিরেকশন নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে ব্যান্ডের সাবেক সদস্য লিয়াম পেইনের অকালমৃত্যুর পর। গত ১৬ অক্টোবর আর্জেন্টিনার বুয়েনস এইরেসে একটি হোটেলের চতুর্থ তলা থেকে পড়ে মৃত্যুবরণ করেন লিয়াম। ৩১ বছর বয়সী এই সংগীত তারকার প্রয়াণে ব্যান্ডটির গানগুলো আবার শীর্ষস্থানীয় তালিকায় উঠে এসেছে।
বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, লিয়ামের মৃত্যুর এক সপ্তাহের মধ্যে ওয়ান ডিরেকশনের পাঁচটি অ্যালবাম যুক্তরাজ্যের টপ চার্টে ফিরেছে। এ তালিকার শীর্ষে আছে ব্যান্ডের তৃতীয় অ্যালবাম মিডনাইট মেমোরিস, যার বিক্রি ও স্ট্রিমিং বেড়েছে ৫১৭ শতাংশ। চার্টে অ্যালবামটির অবস্থান ১৩ নম্বরে। পাশাপাশি ‘মেড ইন দ্য এ.এম’ (২১), ‘ফোর’ (২২), ‘টেক মি হোম’ (২৫) এবং ব্যান্ডটির প্রথম অ্যালবাম ‘আপ অল নাইট’ও (৩৮) জায়গা করে নিয়েছে টপ চার্টে। এছাড়া ব্যান্ডের তিনটি একক গানও টপ ৪০ তালিকায় ফিরে এসেছে, এবং লিয়ামের গাওয়া সবশেষ একক ‘টিয়ারড্রপস’ ৮৫তম স্থানে উঠে এসেছে।
লিয়াম পেইনের জন্ম ১৯৯৩ সালের ২৯ আগস্ট, উলভারহ্যাম্পটনে। ছোটবেলা থেকেই খেলাধুলায় সক্রিয় ছিলেন; উলভারহ্যাম্পটন অ্যান্ড বিলস্টন অ্যাথলেটিকস ক্লাবে রানার হিসেবে নাম করেছিলেন, বক্সিংয়েও ছিলেন দক্ষ। তবে ১২ বছর বয়সে এক ফুটবল ম্যাচে ২৬ হাজার দর্শকের সামনে গান গাওয়ার পর তাঁর জীবনের মোড় ঘুরে যায়। এরপর যোগ দেন ব্রিটিশ টিভি শো দ্য এক্স ফ্যাক্টর-এ, যেখানে তাঁর পরিচয় হয় নিয়াল হোরান, লুইস টমিলসন, হ্যারি স্টাইলস, ও জায়ান মালিকদের সঙ্গে। এই শোতে তৃতীয় হওয়ার পর গঠিত হয় ব্যান্ড ওয়ান ডিরেকশন।
ওয়ান ডিরেকশন তাদের প্রথম পাঁচ অ্যালবাম— আপ অল নাইট, টেক মি হোম, মিড নাইট মেমোরিস, ফোর, এবং মেড ইন দ্য এ.এম—এর মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করে। ২০১৬ সালে ব্যান্ডটি ভেঙে গেলে অন্য সদস্যদের মতো লিয়ামও একক ক্যারিয়ারে মনোনিবেশ করেন। ২০১৯ সালে তিনি মুক্তি দেন প্রথম একক অ্যালবাম ‘এলপিওয়ান’ এবং দ্বিতীয় অ্যালবামের প্রস্তুতি চলছিল, কিন্তু তার আগেই তিনি চলে গেলেন।
গত কয়েক বছরে লিয়াম পেইন ব্যক্তিজীবন নিয়েও আলোচনায় ছিলেন। ২০২২ সালে এক সাক্ষাৎকারে তিনি নিজের পানাসক্তি ও মাদক সমস্যা সম্পর্কে খোলামেলা কথা বলেন এবং আত্মহত্যার প্রবণতা থাকার বিষয়টিও জানান। গত বছর কিডনি সংক্রমণের কারণে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি।