ঢাকা টেস্টে বড় হার বাংলাদেশের
বাংলাদেশের চতুর্থ ইনিংসের লক্ষ্য ছিল যতক্ষণ সম্ভব ব্যাটিং করা। কিন্তু চতুর্থ দিনের সকালে মাত্র ২৫ মিনিট ও ৪.৫ ওভার স্থায়ী হলো বাংলাদেশের ইনিংস। মেহেদী হাসান মিরাজ দুর্দান্ত দৃঢ়তা দেখালেও সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ৩ রান দূরে থেকে আউট হন। এতে জয়ের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকা পায় মাত্র ১০৫ রানের লক্ষ্য। যদিও তারা ৩ উইকেট হারায়, তবে জয় পেতে খুব বেশি বেগ পেতে হয়নি।
বৃষ্টির পর চতুর্থ দিনের উইকেটে ধীরগতিতে খেলবে বলে ধারণা করা হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় দানার কথা মাথায় রেখে তারা দ্রুত রান তোলার দিকে মনোযোগ দেয়। ২২ ওভারেই তারা লক্ষ্যে পৌঁছে যায়, যা তাদের জন্য একটি স্বস্তি ছিল। এর আগে ২০১৫ সালে বাংলাদেশ সফরে এসে বৃষ্টির কারণে দুই টেস্টেই ড্র করতে হয়েছিল তাদের।
মিরপুর টেস্টে টস জিতে বাংলাদেশ প্রথমে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১০৬ রানে অলআউট হয়। জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকা ৩০৮ রান করে, যেখানে কাইল ভেরায়েনে ও ওয়ান মুলদার ১১৯ রানের জুটি গড়ে ম্যাচ বাংলাদেশের নাগালের বাইরে নিয়ে যান। মুলদার ৫৪ রান করেন, আর ভেরায়েনে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি তুলে ১১৪ রানে থামেন।
প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকা ২০২ রানের লিড নেয়। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ দল মেহেদী মিরাজ ও জাকের আলীর ব্যাটিংয়ে ভর করে ৩০৭ রান সংগ্রহ করে। মিরাজ ৯৭ রান করে শেষ ব্যাটার হিসেবে সাজঘরে ফেরেন, আর অভিষেক টেস্ট খেলা জাকের আলী ৫৮ রান করেন। এছাড়া ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় ৪০ ও মুশফিকুর রহিম ৩৩ রান করেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার দেওয়া লক্ষ্য তাড়ায় টনি ডি জর্জি ৪১ রান করেন, অধিনায়ক এইডেন মার্করাম ২০ রান এবং ত্রিস্তান স্টাবস ৩০ রান যোগ করেন।
বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম ইনিংসে দারুণ বোলিং করেন তাইজুল ইসলাম ও হাসান মাহমুদ। তাইজুল প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়ে ক্যারিয়ারের ২০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন। দ্বিতীয় ইনিংসেও তিনি ৩ উইকেট নেন। হাসান মাহমুদ প্রথম ইনিংসে ৩ উইকেট শিকার করেন। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে প্রথম ইনিংসে কাগিসু রাবাদা ও মুলদার ৩টি করে উইকেট নেন, আর কেশব মহারাজও ৩টি উইকেট শিকার করেন। দ্বিতীয় ইনিংসে রাবাদা ৬ উইকেট ও মহারাজ ৩ উইকেট নেন।