ভারতকে হারিয়েই সেমিতে যেতে চায় বাংলাদেশ
মঞ্চটা চিরচেনা, কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়াম। ঠিক দুই বছর আগে এই মাঠেই ভারতকে হারিয়ে নতুন ইতিহাস গড়েছিল বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। ২০২২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর সেই ম্যাচে ভারতকে প্রথমবারের মতো পরাজিত করে সাফ শিরোপার দিকে এগিয়ে গিয়েছিল সাবিনা খাতুন, সানজিদা আক্তারদের দল।
কিন্তু ২৫ মাস পর একই মঞ্চে ভিন্ন চেহারায় হাজির পিটার বাটলারের দল। যেখানে উন্নতির আশা করা হয়েছিল, সেখানে দেখা যাচ্ছে অবনতি। এর প্রমাণ পাওয়া যায় সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের গ্রুপ পর্বে প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র। অথচ আগের আসরে এই পাকিস্তানকে ৬-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছিল বাংলাদেশ। পাকিস্তানের বিপক্ষে ড্রয়ের ফলে এখন বাংলাদেশের সেমিফাইনালে ওঠার আশা অনিশ্চিত। শক্তিশালী ভারতের বিপক্ষে যদি বাংলাদেশ হেরে না যায়, তবে গ্রুপ ‘এ’ রানার্সআপ হয়ে তারা শেষ চারে জায়গা করে নিতে পারবে। তবে, চার গোলের ব্যবধানে হারলে বাংলাদেশের বিদায়ঘণ্টা বেজে যাবে। দলের বর্তমান ভঙ্গুর রক্ষণ এবং দুর্বল আক্রমণভাগ নিয়ে চিন্তায় আছেন মনিকা চাকমা, শিউলি আজিমসহ অন্যান্য খেলোয়াড়রা।
বুধবার বিকেল ৫টা ৪৫ মিনিটে ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। ভারত দক্ষিণ এশিয়ার নারী ফুটবলে শীর্ষস্থানীয় দল, পাঁচবার সাফ শিরোপা জিতেছে। গত আসরে বাংলাদেশ তাদের হেক্সা জয়ের স্বপ্ন ভেঙে দেয়। এবার ভারত সেই শিরোপা পুনরুদ্ধারে পুরোদমে প্রস্তুত হয়ে মাঠে নেমেছে। পাকিস্তানকে ৫-২ গোলে হারানোর পর ভারতের বালা দেবি, দোংমেই গ্রেসির মতো আক্রমণভাগের শক্তি বাংলাদেশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিষয়টি বুঝে ডিফেন্ডার কৌহাতি কিসকু বলেন, ‘কালকের ম্যাচটি আমাদের জন্য খুবই চ্যালেঞ্জিং হবে। কোচ আমাদের ভারতের শক্তি ও দুর্বল জায়গাগুলো নিয়ে আলোচনা করেছেন। আমরা মাঠে নামব জেতার লক্ষ্যে।’
কথায় আত্মবিশ্বাসী শোনালেও, ভারতের বিপক্ষে খেলায় চাপ অনুভব করছেন বাংলাদেশের ফুটবলাররা। তরুণ ও অভিজ্ঞদের মিশ্রণে গড়া পিটার বাটলারের দল প্রথম ম্যাচে প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি। আজকের ম্যাচে ডিফেন্ডার ও গোলরক্ষকরা বড় পরীক্ষার মুখোমুখি হবেন। হারলেও, ব্যবধান যেন চার গোল না হয়— এ চিন্তাও মাথায় রাখছেন সাবিনারা।