স্বামীর কবরে অন্তিম শয়নে মতিয়া চৌধুরী
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও প্রবীণ রাজনীতিবিদ মতিয়া চৌধুরীকে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে স্বামী, প্রখ্যাত সাংবাদিক বজলুর রহমানের কবরে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাজধানীতে দুই দফা জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয়। জাতীয় সংসদের সাবেক উপনেতা ও সাবেক মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী ৮২ বছর বয়সে গত বুধবার রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফনের জন্য নতুন স্থান চাওয়া হয়েছিল। তবে সিটি করপোরেশন তা মঞ্জুর না করায়, শেষ পর্যন্ত স্বামীর কবরে তাকে দাফন করা হয়।
বৃহস্পতিবার সকালে মতিয়া চৌধুরীর কফিন রাজধানীর রমনা অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সের বাসভবনে নেওয়া হয়। সেখানে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে পরিবারের সদস্য ছাড়াও আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের কর্মীরা অংশগ্রহণ করেন। আওয়ামী লীগের ব্যানারে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়, পাশাপাশি দৈনিক সংবাদ পরিবারের পক্ষ থেকেও শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়া হয়।
বাদ জোহর গুলশানের আজাদ মসজিদে তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজার আগে মতিয়া চৌধুরীর ভাই মাসুদুল ইসলাম চৌধুরী সবার কাছে তার জন্য দোয়া চান। জানাজা শেষে মসজিদের দক্ষিণ গেটে আওয়ামী লীগ এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে আলাদাভাবে তার কফিনে শ্রদ্ধা জানানো হয়। যুবলীগসহ অন্যান্য সহযোগী সংগঠনও শ্রদ্ধা নিবেদন করে।
জানাজায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাঈনুদ্দিন হাসান চৌধুরী, বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি ও অবজারভার সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী এবং বিএফইউজের সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুলসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন। তবে জানাজা ও দাফনকে ঘিরে দুই স্থানেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতি তেমনভাবে দেখা যায়নি।