সাকিবকে খেলতে না দিতে মিরপুরে বিক্ষোভ, কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি
সাকিব আল হাসানকে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলে না খেলানোর দাবি জানিয়ে একদল বিক্ষোভকারী আজ দুপুরে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের প্রধান ফটকের সামনে বিক্ষোভ করেছে। ‘মিরপুর ছাত্রজনতা’র ব্যানারে এ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়। পরে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি ফারুক আহমেদের বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়, যেখানে বলা হয়েছে, সাকিবকে খেলানো হলে ম্যাচের দিন কঠোর কর্মসূচি পালন করা হবে।
স্মারকলিপিতে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে, বিক্ষোভের কারণে কোনো অরাজকতা সৃষ্টি হলে বা দেশের ক্রিকেটের কোনো ক্ষতি হলে, তার সম্পূর্ণ দায়ভার বিসিবিকে নিতে হবে। এ সময় দক্ষিণ আফ্রিকা জাতীয় ক্রিকেট দল শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের একাডেমি মাঠে অনুশীলন করছিল, যখন সাকিবের বিরোধিতায় স্টেডিয়ামের বাইরে বিক্ষোভ চলছিল। ২১ অক্টোবর থেকে শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে প্রথম টেস্ট শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
বুধবার বিকেলে এই টেস্টের জন্য বাংলাদেশ দল ঘোষণা করা হয়। সাকিবের দুবাই হয়ে ঢাকায় আসার কথা থাকলেও তিনি জানান, আপাতত দেশে ফিরছেন না। এর মধ্যেই আজ দুপুরে প্রায় শ খানেক বিক্ষোভকারী স্টেডিয়ামের সামনে জড়ো হয়ে সাকিবের খেলার বিরোধিতা করেন এবং বিভিন্ন স্লোগানসহ ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন। স্লোগানের মধ্যে উল্লেখ ছিল, ‘নো এন্ট্রি সাকিব’, ‘সাকিব তুমি মিরপুরের ক্রিকেট পিচ চিনতে পারো, কিন্তু আমরা মিরপুরের রাজপথ চিনে বড় হইছি’, এবং ‘আমার ভাই কবরে, সাকিব কেন বাইরে’।
বিক্ষোভের সময় স্টেডিয়ামের প্রধান ফটক বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং নিরাপত্তার জন্য পুলিশ, আনসার ও সেনাবাহিনী সদস্যদের মোতায়েন করা হয়। পরে বিক্ষোভকারীদের পাঁচজন প্রতিনিধি বিসিবি কার্যালয়ে স্মারকলিপি প্রদান করেন। বিসিবি সভাপতি ও প্রধান নির্বাহী তখন দুবাইয়ে আইসিসি বৈঠকে ছিলেন। স্মারকলিপি গ্রহণ করেন বিসিবির প্রশাসন বিভাগের প্রধান মেজর (অব.) হাসিব।
স্মারকলিপিতে সাকিবকে দলে খেলানোর প্রতিবাদ জানানো হয় এবং দাবি করা হয়, সাকিবকে খেলানোর মাধ্যমে বিসিবি সভাপতি একজন ভোটচোর, দুর্নীতিবাজ, এবং শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তির হাতে বাংলাদেশের জার্সি তুলে দিচ্ছেন। দ্রুত সাকিবকে দল থেকে বাদ দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়, অন্যথায় ম্যাচের দিন কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
বিসিবি জানিয়েছে, বিক্ষোভের বিষয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দল কোনো নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখায়নি। তবে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
