সহিংসতা বিক্ষোভকারীদের ওপর হোক বা বিক্ষোভকারীরা করুক, জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে: যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাষ্ট্র মনে করে, বাংলাদেশে সহিংসতার ঘটনায় কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া উচিত নয় এবং এসব ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। গতকাল বুধবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে মুখপাত্র ম্যাথু মিলার এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক উল্লেখ করেন যে, শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলাকালে ৮ আগস্ট পর্যন্ত বিভিন্ন সহিংস ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিচারের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তিনি দাবি করেন, বিভিন্ন প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ৫ থেকে ৮ আগস্টের মধ্যে পুলিশের হাজার হাজার সদস্য নিহত হয়েছেন এবং বহু থানা ধ্বংস হয়েছে। সাংবাদিক জানতে চান, যুক্তরাষ্ট্র কি বাংলাদেশের সরকারকে সব ভুক্তভোগীর ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানাবে?
ম্যাথু মিলার জবাবে বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট করে বলেছি, সহিংসতার কোনো অজুহাত থাকতে পারে না—চাই সেটা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের ওপর হোক, অথবা বিক্ষোভকারীদের দ্বারা সংঘটিত সহিংসতা হোক। সহিংসতার জন্য যেই দায়ী হোক, তাকে অবশ্যই জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।’
এর আগে, ১৪ অক্টোবর বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর বৈষম্যমুক্ত নতুন বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হয়েছে। মন্ত্রণালয় আরও জানায়, ১৫ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত সংঘটিত অভ্যুত্থান–সংশ্লিষ্ট ঘটনার জন্য কোনো মামলা, গ্রেপ্তার বা হয়রানি করা হবে না।
ব্রিফিংয়ে চট্টগ্রামে দুর্গাপূজার সময় সাংস্কৃতিক মঞ্চে ইসলামি গান পরিবেশন নিয়ে বিভিন্ন প্রতিবেদন প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে, ম্যাথু মিলার বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সব দেশেই ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি বিষয়টি তদন্ত করে পরে সাংবাদিককে জানাবেন।