টানা তিন মাস সংকোচনের ধারায় অর্থনীতি, সেপ্টেম্বরে পিএমআই ৪৯.৭
সেপ্টেম্বর মাসেও অর্থনীতি সংকোচনের ধারায় ছিল, যদিও আগস্ট মাসের তুলনায় সংকোচনের গতি কিছুটা কমেছে। আগস্ট মাসের তুলনায় সেপ্টেম্বর মাসে পারচেজিং ম্যানেজার্স ইনডেক্স (PMI) মান ৬.২ পয়েন্ট বেড়ে ৪৯.৭-এ পৌঁছেছে, যেখানে আগস্ট মাসে এই মান ছিল ৪৩.৫। PMI সূচকের মান ৫০-এর নিচে থাকলে অর্থনীতি সংকুচিত হচ্ছে বোঝায়।
মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স (MCCI) এবং পলিসি এক্সচেঞ্জ যৌথভাবে এই PMI সূচক প্রণয়ন করে, যা ১০০ নম্বরের মধ্যে প্রণীত হয়। PMI সূচক দেখাচ্ছে যে আগস্টের তুলনায় অর্থনীতি ধীরে ধীরে উন্নতির দিকে এগোচ্ছে, যদিও ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এখনো চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে। সামগ্রিকভাবে, অর্থনীতি টানা তিন মাস ধরে সংকুচিত হচ্ছে। জুলাই মাস থেকে দেশে শুরু হওয়া রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা এবং ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরও তার প্রভাব অর্থনীতিতে স্পষ্ট।
PMI সূচক চারটি প্রধান খাতের ভিত্তিতে প্রণয়ন করা হয়েছে—কৃষি, উৎপাদন, নির্মাণ, এবং সেবা। সেপ্টেম্বর মাসে শুধুমাত্র উৎপাদন খাত সম্প্রসারণের ধারায় ফিরেছে, যেখানে বাকি তিনটি খাত এখনো সংকোচনের ধারায় রয়েছে। তবে, আশার বিষয় হলো, সব খাতেই ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। কৃষি খাতে PMI মান ছিল ৪৭ (আগস্টে ৩৮.৭), উৎপাদন খাতে ৫২.৬ (আগস্টে ৪৭.৭), নির্মাণ খাতে ৪৬ (আগস্টে ৪০), এবং সেবা খাতে ৪৯.৪ (আগস্টে ৪৩.২)।
জুলাই মাসে কোটা সংস্কার আন্দোলনের ফলে অর্থনীতির প্রধান চারটি খাত সংকুচিত হয়, এবং PMI সূচক ৩৬.৯-এ নেমে আসে, যেখানে জুন মাসে এই মান ছিল ৬৩.৯। যদিও পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে, অর্থনীতি এখনো সম্পূর্ণরূপে সম্প্রসারণের ধারায় ফিরতে পারেনি। তবে, ভবিষ্যতের ব্যবসা সূচক ইতিবাচক দেখানো হয়েছে এবং সব খাতেই দ্রুত সম্প্রসারণের সম্ভাবনা রয়েছে।
PMI সূচকের প্রথম প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় মে মাসে, যদিও ২০২৩ সালের ডিসেম্বর থেকে এই সূচকের মান নির্ণয় করা হচ্ছে।