কুমিল্লায় দুর্বৃত্তায়নের প্রতীক হয়ে উঠেছিলেন আওয়ামী গডফাদার বাহার
কুমিল্লা-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার দীর্ঘ ১৫ বছরের শাসনকালে কুমিল্লা শহরের রাজনীতি এবং অপরাধজগতকে এককভাবে নিয়ন্ত্রণ করেছিলেন। অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, খুনের মামলার আসামি এবং মাদক কারবারিদের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা থাকায় সাধারণ মানুষ তাঁর দাপটের কারণে তাঁকে ভয় পেত। তিনি আওয়ামী লীগের একজন প্রভাবশালী নেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন, এবং তাঁর অনুসারীরা কুমিল্লার অনেক অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল। বাহারের শাসনামলে কুমিল্লায় দখল, চাঁদাবাজি, ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণ, এবং বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা ব্যাপকভাবে ঘটে।
বাহারের মেয়ে তাহসীন বাহারও কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক পদে বসে দলের অভ্যন্তরে প্রভাবশালী ছিলেন। তবে আওয়ামী লীগের পতনের পর বাহার ও তাঁর মেয়ে পালিয়ে যান। বাহারের রাজনীতিতে প্রভাব এবং অপরাধী চক্রগুলোর কার্যক্রমের জন্য কুমিল্লা শহরের জনগণও অসন্তুষ্ট ছিল, এবং আওয়ামী লীগের পতনের পর তাঁর বাড়ি এবং অন্যান্য স্থাপনা জনরোষের শিকার হয়।
বাহার ও তাঁর অনুসারীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন খুন, নির্যাতন, এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ উঠেছে, যা তাকে একটি দুর্বৃত্তায়িত রাজনীতির প্রতীক হিসেবে তুলে ধরেছে।