সংস্কারের পাশাপাশি নির্বাচনের কাজও এগিয়ে নেবে সরকার
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, অন্তর্বর্তী সরকার একদিকে রাষ্ট্র সংস্কারের কাজ করবে, অন্যদিকে নির্বাচনের প্রস্তুতি ও নির্বাচন কমিশন গঠন প্রক্রিয়াও এগিয়ে নেবে। তাঁর মতে, সংস্কার নিয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হলে দ্রুত নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব হবে।
শনিবার রাতে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনের মূল উদ্দেশ্য ছিল প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপের বিষয়বস্তু সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরা। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলমসহ অন্যান্য কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
ছয়টি কমিশন গঠনের প্রস্তাব:
শফিকুল আলম জানান, ছয়টি কমিশন গঠন করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। এই কমিশনগুলো তিন মাসের মধ্যে প্রতিবেদন তৈরি করবে, যা পরবর্তীতে অন্তর্বর্তী সরকার রাজনৈতিক দল ও সমাজের বিভিন্ন স্তরের সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। সংস্কার বিষয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হলে এর ওপর ভিত্তি করেই নির্বাচন আয়োজনের সময় নির্ধারণ করা হবে।
ফ্যাসিবাদ ও গণহত্যার বিচার:
মাহফুজ আলম বলেন, যারা গণহত্যা এবং ফ্যাসিবাদের সঙ্গে জড়িত ছিলেন, তাদের বিচার হবে। প্রশাসন ও দলীয়ভাবে যারা এই অপরাধে যুক্ত ছিলেন, সঠিক তদন্তের মাধ্যমে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
রাজনৈতিক দলের মতামত ও রোডম্যাপ:
সংলাপে রাজনৈতিক দলগুলো অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে এবং এই সরকারকে তাদের সরকার হিসেবে উল্লেখ করেছে। কমিশনগুলোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে নির্বাচন ও সংস্কারের কাজ সমান্তরালভাবে চলবে। এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে।
দ্রব্যমূল্য ও সিন্ডিকেট বিরোধী কার্যক্রম:
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি এবং সিন্ডিকেট সম্পর্কে প্রশ্নের জবাবে মাহফুজ আলম জানান, অন্তর্বর্তী সরকার সিন্ডিকেট ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আগের অবস্থানে ফিরে আসছে এবং আশা করা হচ্ছে শিগগিরই সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়ার সুযোগ তৈরি হবে। এর মাধ্যমে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হবে।