যুক্তরাষ্ট্রে ২ লাখ ডলারে লবিস্ট নিয়োগ জয়ের
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় সম্প্রতি স্ট্রেক গ্লোবাল ডিপ্লোম্যাসির চেয়ারম্যান রবার্ট স্ট্রেকের সঙ্গে দুই লাখ ডলারের বিনিময়ে একটি লবিস্ট চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন। এই চুক্তির মাধ্যমে আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাহী ও বিচার বিভাগের কাছে উপস্থাপন করবে।
রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট
বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি বেশ জটিল এবং সংঘাতপূর্ণ। গত কয়েক বছর ধরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে রাজনৈতিক উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। সজীব ওয়াজেদ এর আগে ২০০৪ সালে একটি লবিস্ট ফার্মের সঙ্গে চুক্তি করেছিলেন, যেখানে বিএনপির বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল যে তারা জঙ্গিবাদের প্রসারে কাজ করছে। এটি স্পষ্ট করে যে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো আন্তর্জাতিক মঞ্চে নিজেদের পক্ষে তথ্য উপস্থাপন করার চেষ্টা করছে।
- আল্লু অর্জুনের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর, তারপর যা ঘটল
- সাদা পোশাকে সেঞ্চুরি করে ইতিহাসের পাতায় জ্যোতি
- বিমান বিধ্বস্ত হয়ে একই পরিবারের ১০ জন নিহত, আহত ১৫
- লেবাননে হস্তক্ষেপ করবে না সিরিয়া: জুলানি
- বছরখানেক সময় পেলে সংস্কার কাজগুলো করে যাব: আসিফ নজরুল
লবিস্ট নিয়োগের উদ্দেশ্য
লবিস্ট নিয়োগের উদ্দেশ্য হচ্ছে রাজনৈতিক পরিস্থিতি, কূটনীতি, এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে নিজেদের অবস্থানকে শক্তিশালী করা। স্ট্রেক গ্লোবাল-এর মাধ্যমে আওয়ামী লীগ যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক ল্যান্ডস্কেপে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে, যা আন্তর্জাতিক সমর্থন পাওয়ার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
আগের ঘটনা
২০১৯ সালে বিএনপিও একাধিক লবিস্ট ফার্মের সঙ্গে চুক্তি করে, যেখানে তারা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রের স্বার্থহানি করার অভিযোগ জানায়। এটি দেখায় যে, দুই দলই নিজেদের অবস্থানকে দৃঢ় করার জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তা চাচ্ছে।
তথ্যের প্রাপ্যতা
মার্কিন বিচারবিভাগের ওয়েবসাইটে বাংলাদেশ সম্পর্কিত ৩৭৬টি লবিস্ট ফাইলের উপস্থিতি বিষয়টির গুরুত্ব বাড়িয়ে দেয়। এই পরিসংখ্যান রাজনৈতিক লবিস্টিংয়ের প্রবণতা এবং এর কৌশলগত প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি তুলে ধরে।
সজীব ওয়াজেদয়ের লবিস্ট নিয়োগ রাজনৈতিক কৌশল এবং আন্তর্জাতিক মঞ্চে প্রতিযোগিতার একটি উদাহরণ। এটি একটি নতুন অধ্যায় হিসেবে কাজ করবে, যা বাংলাদেশে রাজনৈতিক দলের আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে অংশগ্রহণের প্রবণতা নির্দেশ করে। এ ধরনের পদক্ষেপ দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক অবস্থার পাশাপাশি বৈশ্বিক রাজনৈতিক প্রবণতার উপরও প্রভাব ফেলতে পারে।