বাসাতেও মায়ার মত কথা বলতেন সারিকা, জানিয়েছিলেন স্বামী
অভিনয় ও উপস্থাপনায় সরব অভিনেত্রী সারিকা সাবরিনের সময়টা বেশ ভালো যাচ্ছে। দীর্ঘ বিরতির পর তিনি আবারও ফিরেছেন ওয়েব দুনিয়ায়। সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে তাঁর অভিনীত ওয়েব ফিল্ম ‘মায়া’। গত ৩০ সেপ্টেম্বর ওটিটি প্ল্যাটফর্ম ‘বিঞ্জ’-এ মুক্তি পায় ফিল্মটি। এতে সারিকা অভিনয় করেছেন নাম ভূমিকায়, অর্থাৎ ‘মায়া’ চরিত্রে।
ওয়েব ফিল্মটির দর্শক প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে সারিকা বলেন, ‘‘ফিল্মের টিজার প্রকাশের পর থেকেই দর্শকদের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পেয়েছি। অনেকেই ফিল্মটি দেখার অপেক্ষায় ছিলেন। মুক্তির পর নির্মাতা, সাংবাদিক, সহকর্মী এবং শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাছ থেকে প্রচুর প্রশংসা পাচ্ছি। প্রিমিয়ারের সময় দর্শকদের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগির সুযোগও হয়েছে। অনেকেই আমার অভিনয়ের প্রশংসা করেছেন।’’
রায়হান রাফির পরিচালনায় এটি তাঁর প্রথম কাজ। এর আগে সারিকা রবিউল আলম রবির পরিচালনায় ‘ক্যাফে ডিজায়ার’ নামক আরেকটি ওয়েব ফিল্মে অভিনয় করেছিলেন। রায়হান রাফির সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা নিয়ে সারিকা বলেন, ‘‘রাফি সবসময়ই অসাধারণ কিছু নির্মাণ করেন। তাঁর সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা দারুণ ছিল। শুটিংয়ের আগে তাঁর প্রস্তুতি এবং শিল্পীদের জন্য সঠিক সম্মান ও কমফোর্ট জোন তৈরি করার দক্ষতা রয়েছে। এজন্য কাজ করতে খুব আরাম পেয়েছি।’’
‘মায়া’ ওয়েব ফিল্মে একটি নারীর সংগ্রামী জীবনের গল্প উঠে এসেছে। স্বামী ছাড়া একজন নারীকে কী ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়, তারই প্রতিফলন ঘটেছে ফিল্মটিতে। সারিকার সঙ্গে এই ফিল্মে অভিনয় করেছেন মামনুন ইমন। এক সময় এই জুটি একসঙ্গে অনেক কাজ করেছিলেন, তবে সাত বছর পর আবারও জুটি বেঁধে ফিরলেন তাঁরা।
ইমনের সঙ্গে কাজের প্রসঙ্গে সারিকা বলেন, ‘‘ইমন সিনেমার ব্যস্ত শিল্পী, আর আমি নাটকে বেশি কাজ করি। তাই আমাদের কর্মক্ষেত্র আলাদা ছিল। নির্মাতা রাফির অফিসে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পর জানতে পারি, ইমন আমার সহশিল্পী। খুব অবাক হয়েছিলাম এবং খুশিও লেগেছিল।’’
‘মায়া’ ফিল্মের গল্পে মায়া নামের এক নারী পরিবারের অমতে বিয়ে করেন। পরে জানতে পারেন, তাঁর স্বামী একজন মাদকাসক্ত। দম্পতির মধ্যে নানা ঘটনা ঘটতে থাকে এবং সেখান থেকেই গল্পের উত্তরণ ঘটে।
মায়া চরিত্রে অভিনয়ের জন্য সারিকা কীভাবে প্রস্তুতি নিয়েছিলেন তা নিয়ে তিনি বলেন, ‘‘আমি চেষ্টা করেছি চরিত্রটির মাধ্যমে যেন সারিকার ছাপ না থাকে। এজন্য শুটিংয়ের আগে এক মাস ধরে প্রস্তুতি নিয়েছি। লুক, কথা বলা, সবকিছুতেই সচেতন ছিলাম। এমনকি বাসায় আমার স্বামী বলত, আমি নাকি মায়ার মতো কথা বলছি।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘দর্শকরাই বলতে পারবেন কতটা সফলভাবে মায়া হয়ে উঠতে পেরেছি।’’
নাটকের পাশাপাশি সারিকা ওয়েব ফিল্মের কাজেই বেশি মনোযোগ দিতে চান। ইতিমধ্যে তিনি ‘রেহানা মরিয়ম নূর’-এর নির্মাতা আবদুল্লাহ মোহাম্মদ সাদের একটি ওয়েব ফিল্মের কাজও শেষ করেছেন। তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানাতে নারাজ তিনি।