টি২০ দলে ধীরে চলো নীতি
বিশ্বকাপের পর একসঙ্গে বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা ও রবীন্দ্র জাদেজার টি২০ থেকে অবসর নেওয়ার পরও ভারত তাদের দল গুছিয়ে নিয়েছে। এদিকে, বাংলাদেশ বিশ্বকাপ-পরবর্তী প্রথম সিরিজে ভারতের বিপক্ষে খেলতে টি২০ দল ঘোষণা করেছে। এই সিরিজ দিয়ে ২০২৬ সালের টি২০ বিশ্বকাপের প্রস্তুতি শুরু করছে বাংলাদেশ। দলের টপঅর্ডারে পারভেজ হোসেন ইমনকে জায়গা দেওয়া হয়েছে, এবং সাকিব আল হাসানের অনুপস্থিতিতে তাঁর জায়গায় খেলবেন মেহেদী হাসান মিরাজ। নির্বাচকরা কোনো বড় পরিবর্তনের পক্ষে নন এবং ধীরে ধীরে দল গুছিয়ে নিতে চান।
বাংলাদেশ টি২০ ক্রিকেটে খুব একটা সফল না হলেও সাম্প্রতিক সময়ে কিছু উন্নতি করেছে। ২০২২ সালের বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডস ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জিতেছিলেন সাকিবরা, এবং ভারতের বিপক্ষে অ্যাডিলেডে জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েও হেরে যান। ২০২৬ সালের বিশ্বকাপের আগে সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে ভালো ফল করতে চায় বাংলাদেশ।
জাতীয় দলের পুনর্গঠন নিয়ে কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, “এ দল পুনর্গঠনের জন্য ধীরে ধীরে কাজ করতে হবে। ‘এ’ দলের সিরিজ বেশি খেলে খেলোয়াড়দের ধাপে ধাপে জাতীয় দলে নেওয়া উচিত। তাড়াহুড়া করলে বিপর্যয় ঘটতে পারে, কারণ খেলোয়াড়দের মধ্যে বোঝাপড়া ও আন্তর্জাতিক ম্যাচে পারফরম্যান্স করার সক্ষমতা গুরুত্বপূর্ণ।”
প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপুও একই মত পোষণ করেন। তিনি বলেন, “ভারত সিরিজকে আমরা ওয়ার্মআপ হিসেবে দেখছি। এরপর ঘরোয়া লিগে নজর রাখা হবে, যেসব খেলোয়াড় উঠে আসবে, তাদের নিয়ে পরিকল্পনা হবে। পরিবর্তন আনতে হলে সঠিক মূল্যায়নের প্রয়োজন।”
নির্বাচক হান্নান সরকার জানান, “জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পারফরম্যান্স দেখে বিকল্প খেলোয়াড় বাছাই করা হবে। টি২০তে বোলিং গুরুত্বপূর্ণ, তাই শক্তিশালী বোলিং ইউনিট গড়ার দিকে মনোযোগ থাকবে।”
২০২৬ সালের বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশ মোট ৭৭টি টি২০ ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে, যা কাজে লাগিয়ে শক্তিশালী দল গঠনের পরিকল্পনা করছে নির্বাচক প্যানেল।