নাসরুল্লাহকে হত্যায় ১ টন ওজনের ‘বাংকার-বাস্টার’ বোমা ব্যবহার করে ইসরায়েল
লেবাননভিত্তিক শিয়া ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দল ও সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহর নেতা হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যায় সম্ভবত ২ হাজার পাউন্ড বা ১ টন ওজনের ‘বাংকার-বাস্টার’ বোমা ব্যবহার করা হয়েছে। ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলায় নাসরুল্লাহ নিহত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তিনি তিন দশকের বেশি সময় ধরে হিজবুল্লাহর নেতৃত্বে ছিলেন।
গত শুক্রবার রাতে ইসরায়েল লেবাননে হামলা চালায় এবং এই হামলার জন্য যে যুদ্ধবিমানগুলো ব্যবহার করা হয়েছিল, তার একটি ভিডিও ইসরায়েল প্রকাশ করেছে। ভিডিও বিশ্লেষণ করে নিউইয়র্ক টাইমসের একটি প্রতিবেদনে জানা যায়, ইসরায়েলের যুদ্ধবিমানগুলো প্রতিটি ২ হাজার পাউন্ড ওজনের ‘বাংকার-বাস্টার’ বোমা বহন করেছিল। বিশেষজ্ঞদের মতে, হামলায় কমপক্ষে আটটি যুদ্ধবিমান অংশ নেয়, এবং এই বিমানগুলোতে অন্তত ১৫টি ‘বাংকার-বাস্টার’ বোমা ছিল, যার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি বিএলইউ-১০৯ বোমাও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
মার্কিন সেনাবাহিনীর সাবেক বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ ট্রেভর বল জানিয়েছেন, এই ধরনের বোমা বিস্ফোরণের আগে ভূগর্ভে প্রবেশ করতে সক্ষম, এবং এতে নির্ভুল আঘাত হানার জন্য নির্দেশিকা ব্যবস্থা যুক্ত থাকে। হামলার ভিডিও বিশ্লেষণ করে মার্কিন বিমানবাহিনীর নিশানা নির্ধারণ বিশেষজ্ঞ ওয়েস ব্রায়ান্টও এই মতের সঙ্গে একমত হয়েছেন। তিনি বলেন, নাসরুল্লাহর ভূগর্ভস্থ সদর দপ্তরে হামলার জন্য যে ধরনের বোমা ব্যবহারের কথা তিনি ধারণা করেছিলেন, বাস্তবে সেটাই ঘটেছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী গতকাল শনিবার তাদের অফিশিয়াল টেলিগ্রাম চ্যানেলে হামলার ভিডিও প্রকাশ করে, যেখানে দেখা যায় ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানগুলো লেবাননে হিজবুল্লাহর কেন্দ্রীয় সদর দপ্তর লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে।