লেবানন-ইসরায়েল সীমান্তে যুদ্ধবিরতির আহ্বান পশ্চিমাদের
লেবাননে চলমান সংঘাত নিরসনে সাময়িক যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এবং অন্যান্য পশ্চিমা মিত্র দেশগুলো। ইসরায়েলি বাহিনী ও লেবাননের সশস্ত্র প্রতিরোধ যোদ্ধা গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর মধ্যে ক্রমবর্ধমান সহিংসতা মোকাবিলায় তারা এ আহ্বান জানান।
বৃহস্পতিবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রসহ ১১টি শক্তিশালী জোটের সদস্যরা কূটনৈতিক সমাধানের লক্ষ্যে আলোচনার পথ তৈরি করতে এই পদক্ষেপ নিতে চান। যৌথ বিবৃতিতে তারা উল্লেখ করেছেন, চলমান শত্রুতা এবং সংঘাত ‘অসহনীয়’ এবং এটি বড় পরিসরে আঞ্চলিক সংঘাতে রূপ নিতে পারে, যা ইসরায়েল ও লেবাননের জনগণের স্বার্থের পরিপন্থী।
ইসরায়েলের সামরিক প্রধান জানিয়েছেন, হিজবুল্লাহর ওপর ব্যাপক বিমান হামলা পরবর্তীতে লেবাননে স্থল অভিযানের পথ প্রশস্ত করবে। এর পরই মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র দেশগুলো শান্তি ও কূটনৈতিক সমাধানের আহ্বান জানায়।
এদিকে, ইসরায়েল লেবাননে বিমান হামলার পাশাপাশি স্থল অভিযান চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী উত্তরাঞ্চলে একটি মহড়া শুরু করেছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট মহড়া পরিদর্শন করে জানান, লেবানন সীমান্তে যোদ্ধাদের প্রস্তুতি দেখতে তিনি সেখানে উপস্থিত ছিলেন। গ্যালান্ট আরও বলেন, ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলের নাগরিকদের সুরক্ষা এবং তাদের ঘরে ফিরিয়ে আনার জন্য যেকোনো পদক্ষেপ নিতে তারা প্রস্তুত।
অন্যদিকে, ইসরায়েল লেবাননের বিভিন্ন অঞ্চলে অব্যাহতভাবে বিমান হামলা চালাচ্ছে। বুধবারের (২৫ সেপ্টেম্বর) হামলায় বৈরুতসহ লেবাননের বিভিন্ন এলাকা আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। ইসরায়েলের এই হামলায় কমপক্ষে ১০ জন নিহত হন। সোমবার থেকে শুরু হওয়া এই সংঘাতে এখন পর্যন্ত ৫৬৯ জনের মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে ৫০ জন শিশু। আহতের সংখ্যা প্রায় দুই হাজার।