পুলিশে ঢুকেই ‘বাদশাহ’দাদন ফকির
দাদন ফকির ১৯৯৭ সালে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) পদে যোগ দেন এবং পরবর্তী সময়ে পদোন্নতি পেয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) হন। তবে তার পরিচিতি মূলত ‘ওসি দাদন ফকির’ নামেই। ঢাকার মিরপুর, পল্লবীসহ কয়েকটি থানায় ওসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। বিশেষ করে ঢাকার মহানগর পুলিশের সাবেক কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়ার সময় তিনি একজন প্রভাবশালী ওসি হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
সরকারি বেতন কাঠামো অনুযায়ী, চাকরি জীবনে দাদন ফকির সর্বোচ্চ এক কোটি ২৫ লাখ টাকা বেতন পেয়েছেন। তবে তার সম্পত্তির পরিমাণ এর চেয়ে অনেক বেশি। ঢাকায় বিলাসবহুল ছয়তলা বাড়ি, কেরানীগঞ্জে দুটি প্লট এবং মাদারীপুরে তিনতলা বাড়ি ছাড়াও বিপুল সম্পদের মালিক তিনি। এসব সম্পদ বৈধ আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
পল্লবী থানায় ওসি হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে জমি দখলের পাশাপাশি মাদকের মামলায় নির্দোষ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে সাজা দেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) তদন্তে দাদন ফকিরসহ আরও কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
তার গ্রামের বাড়ি মাদারীপুরের শিবচরে রয়েছে তিনতলা দৃষ্টিনন্দন ভবন, যা তার পৈতৃক সম্পত্তি থেকে পাওয়া আয় দিয়ে সম্ভব নয় বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। এ ছাড়া দাদন ফকিরের বিরুদ্ধে গ্রামের বিধবা নারীর জমি দখলের অভিযোগও রয়েছে।
এক সময়ের প্রভাবশালী পুলিশ কর্মকর্তা দাদন ফকিরকে সম্প্রতি বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে। তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।