December 23, 2024
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা জলবায়ু পরিবর্তন বুঝতে সাহায্য করবে

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা জলবায়ু পরিবর্তন বুঝতে সাহায্য করবে

সেপ্টে ২২, ২০২৪

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এবং অন্যান্য উন্নত প্রযুক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়েছে জাতিসংঘের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে।

বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার (ডব্লিউএমও) অধীনে প্রকাশিত ‘ইউনাইটেড ইন সায়েন্স’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৈশ্বিক উষ্ণায়ন সীমিত রাখার লক্ষ্যে ২০১৫ সালের প্যারিস চুক্তিতে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা এখন বিপদের মুখে পড়েছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, রেকর্ড পরিমাণ গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণের ফলে চলতি শতাব্দীর মধ্যে বৈশ্বিক তাপমাত্রা তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ডব্লিউএমও প্রধান সেলেস্তে সাউলো ২০২৩ সালকে ইতিহাসের উষ্ণতম বছর হিসেবে উল্লেখ করে এটিকে “পৃথিবীর জন্য অশনি সংকেত” হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।

তবে সংকট মোকাবিলায় নতুন প্রযুক্তি নিয়ে আশাবাদ প্রকাশ করেন সাউলো। জাতিসংঘের প্রতিবেদনে এআই এবং মেশিন লার্নিংকে ‘ট্রান্সফরমেটিভ’ বা বিপ্লবাত্মক প্রযুক্তি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এই প্রযুক্তি জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে খাপ খাওয়াতে এবং বিপর্যয় মোকাবিলায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে পারে।

এআই প্রযুক্তি আবহাওয়ার পূর্বাভাসকে আরও সঠিক, দ্রুত এবং সহজলভ্য করে তুলতে পারে, যা প্রাকৃতিক দুর্যোগের আগে মানুষকে প্রস্তুতি নিতে সহায়তা করবে। এছাড়া স্যাটেলাইট প্রযুক্তি আবহাওয়া ও জলবায়ু সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের পূর্বাভাস উন্নত করতে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।

যদিও জাতিসংঘ এআই এবং উন্নত প্রযুক্তির সম্ভাবনা নিয়ে আশাবাদী, তবু সম্ভাব্য নেতিবাচক দিক নিয়েও সতর্ক করেছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারে পরিবেশগত প্রভাব সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করা না হলে তা জলবায়ুর ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তাই পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রেখে এসব প্রযুক্তি ব্যবহার করার আহ্বান জানিয়েছেন সাউলো।

Leave a Reply