আসছে রেমিট্যান্স, চাঙ্গা ডলার বাজার
দীর্ঘদিনের সংকট কাটিয়ে দেশের ডলার বাজার ও আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজার আবারও চাঙ্গা হতে শুরু করেছে। রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ক্রলিং পেগ এক্সচেঞ্জ রেট গ্রহণের মতো নীতিগত সিদ্ধান্ত ডলার সংকট মোকাবিলায় সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।
ব্র্যাক ব্যাংকের ট্রেজারি ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের প্রধান মো. শাহীন ইকবাল জানান, রেমিট্যান্স বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে আন্তঃব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রাবাজার স্থিতিশীলতার দিকে যাচ্ছে। ডলার সংকট কমছে এবং আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজার স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে পারছে।
গত আগস্টে রেমিট্যান্স প্রবাহ ১৬ দশমিক ১০ শতাংশ বেড়ে ২.২ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছায়। চলতি সেপ্টেম্বরে প্রথম ১৪ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১.১৭ বিলিয়ন ডলার, যা রিজার্ভ বৃদ্ধিতে সহায়ক হয়েছে। আইএমএফ-এর হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে দেশের রিজার্ভ প্রায় ২০ বিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা জানান, রেমিট্যান্স বাড়ায় ব্যাংকগুলোর মধ্যে ডলার লেনদেন আরও সহজ হয়েছে। ব্যাংক ও খোলা বাজারে ডলারের দামের পার্থক্য কমে এসেছে, যেখানে আন্তঃব্যাংক বাজারে প্রতি ডলার ১১৮-১২০ টাকা এবং খোলা বাজারে ১২০-১২১ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগ, বিশেষত ক্রলিং পেগ চালু এবং চাহিদা-সরবরাহের ভিত্তিতে বিনিময় হার সমন্বয়, বাজারে স্থিতিশীলতা নিয়ে এসেছে। ফলে ব্যাংকিং খাতে রেমিট্যান্স প্রেরণকারী ও ব্যবসায়ীদের আস্থা ফিরেছে এবং ডলার প্রবাহ বেড়েছে। উদাহরণস্বরূপ, কৃষি ব্যাংকের মতো রেমিট্যান্স প্রাপ্তি বেশি হওয়া ব্যাংকগুলো এলসি খোলার চাপ না থাকায় আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে ডলার সরবরাহ করছে, যা বাজারে চাপ কমিয়েছে।
আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে দৈনিক লেনদেন এখন ৩০ থেকে ৯০ মিলিয়ন ডলারের মধ্যে পৌঁছেছে, যা ইতিবাচক প্রবণতা হিসেবে দেখা হচ্ছে।