বাংলাদেশ জাকিরের পর সাদমানকেও হারাল.
বাংলাদেশের দুই ওপেনার এদিন বেশ আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেললেও চা বিরতির পর দলকে ধাক্কা দেন বুমরাহ। ৩৩ রানে থাকা জাকিরকে বুমরাহ আউট করেন, আর কিছুক্ষণ বাদেই ৩৫ রানে থাকা সাদমানকে অশ্বিন আউট করেন। ফলে ৮৬ রানে ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
২৭ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ২ উইকেটে ১১১ রান। জয় থেকে তারা তখনো ৪০৪ রান দূরে। শান্ত ২৬ রান নিয়ে ও মুমিনুল ৯ রান নিয়ে ক্রিজে ছিলেন।
জয়সোয়ালের দুর্দান্ত ক্যাচে জাকিরের বিদায়
চা বিরতির পর বুমরাহর ডেলিভারিতে গালিতে খোঁচা মেরে ক্যাচ দেন বাঁহাতি ওপেনার জাকির। বাম দিকে নিচু হয়ে দুর্দান্ত এক হাতে ক্যাচ ধরেন জয়সোয়াল। জাকির ৪৭ বলে ৩৩ রান করে ৫টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। তখন বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ১ উইকেটে ৬২ রান। সাদমান তখন ৫১ বলে ২৬ রানে অপরাজিত ছিলেন।
জাকির-সাদমানে পঞ্চাশ ছাড়াল বাংলাদেশ
ভারতের ৫১৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আক্রমণাত্মক শুরু করে বাংলাদেশ। জাকির ও সাদমানের ব্যাটে দলীয় পঞ্চাশ পার করে ফেলে। ১২ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল কোনো উইকেট না হারিয়ে ৫৪ রান। জাকির ৩২ ও সাদমান ২০ রানে অপরাজিত ছিলেন।
কঠিন টার্গেট
প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৪৯ রানে অলআউট হওয়া বাংলাদেশকে চেন্নাই টেস্টে জয়ের জন্য ৫১৫ রান করতে হবে। তবে ড্র করতে হলে তাদের প্রায় আড়াই দিন উইকেটে থাকতে হবে, যা প্রায় অসম্ভব বলে মনে হচ্ছে। ক্রিকেটের ইতিহাসে ৪১৮ রানের বেশি তাড়া করে জেতার রেকর্ড নেই।
বাংলাদেশ এর আগে টেস্টে এর চেয়ে বড় টার্গেট তিনবার পেয়েছে এবং চতুর্থ ইনিংসে নবমবার ৫০০ রানের বেশি লক্ষ্য তাড়া করতে হচ্ছে। সবগুলো ম্যাচেই তারা হেরেছে। টেস্টে চতুর্থ ইনিংসে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ ২১৫ রান তাড়া করে ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জিতেছিল।
ভারতের দ্বিতীয় ইনিংস
প্রথম ইনিংসে ২২৭ রানের লিড নেওয়ার পর, দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেটে ২৮৭ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে ভারত। এতে ৫১৪ রানের লিড নিয়ে বাংলাদেশকে ৫১৫ রানের বিশাল লক্ষ্য দেয় তারা। ইনিংস ঘোষণার সময় শুভমান গিল ১১৯* এবং লোকেশ রাহুল ২২* রানে অপরাজিত ছিলেন।
বাংলাদেশের হয়ে মেহেদী হাসান মিরাজ ২টি এবং তাসকিন আহমেদ ও নাহিদ রানা ১টি করে উইকেট নিয়েছেন। এর আগে ভারতের প্রথম ইনিংসে ৩৭৬ রানে অলআউট হওয়ার পর বাংলাদেশ ১৪৯ রানে গুঁটিয়ে যায়, ফলে তারা ফলোঅন এড়াতে পারেনি।