বরিশাল সিটি করপোরেশন- ভাগ পেতে কার্যাদেশ আটকে দিলেন বিএনপি নেতারা
বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) প্রায় ১২ কোটি টাকার উন্নয়নকাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিএনপির কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে। এই কাজগুলোর ঠিকাদার নির্ধারণে ইলেকট্রনিক গভর্নমেন্ট প্রকিউরমেন্ট (ই-জিপি) প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দরপত্র আহ্বান করা হয় এবং সর্বনিম্ন দরদাতা দুটি প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেওয়ার কথা ছিল। তবে বিএনপি নেতারা পুনঃদরপত্র আহ্বানের জন্য বিসিসি কর্তৃপক্ষের ওপর চাপ প্রয়োগ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
অপসারিত মেয়র আবুল খায়ের আবদুল্লাহর মেয়াদকালে তিনটি প্যাকেজে সড়ক ও ড্রেন নির্মাণের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে বাস্তবায়িত এই প্রকল্পগুলোর দরপত্র জমার শেষ তারিখ ছিল ৮ আগস্ট। রাজনৈতিক পরিস্থিতি পরিবর্তনের কারণে তা ১৯ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হয়। অংশগ্রহণকারী ঠিকাদারদের মধ্যে আওয়ামী লীগপন্থি কেউ না থাকায় সব ঠিকাদারই বিএনপিপন্থি বলে জানা গেছে।
দুটি প্যাকেজের সর্বনিম্ন দরদাতা যৌথ প্রতিষ্ঠান শরীফ এন্টারপ্রাইজ ও তালুকদার এন্টারপ্রাইজ, এবং অপর প্যাকেজের সর্বনিম্ন দরদাতা এসএইচ এন্টারপ্রাইজ। তবে অজ্ঞাত কারণে তাদের কার্যাদেশ দেওয়া হচ্ছে না। ঠিকাদাররা অভিযোগ করেছেন, কেউ বা কারা সিটি করপোরেশনকে চাপে রেখে কার্যাদেশ দেওয়া বন্ধ করছে।
বিএনপি নেতাদের বাধার অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে মহানগর বিএনপি নেতা বদিউজ্জামান টলন বলেন, দরপত্র প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে তারা নগর ভবনে গিয়েছিলেন, তবে কোনো বাধা দেননি। অন্যদিকে, বিএনপির আরেক নেতা মাহবুবুর রহমান পিন্টু এবং রফিকুল ইসলাম শাহীন তাদের বকেয়া বিলের বিষয়ে জানতে সিটি করপোরেশনে যাওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন।
বিসিসির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হুমায়ুন কবীর বলেন, কার্যাদেশ দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে, তবে বিএনপি নেতাদের বাধা প্রদানের বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।