বৃহস্পতিবার ১১ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়
ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প—ডিএনডি (ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা) খাল খনন কার্যক্রম বর্তমানে বাস্তবায়নের পর্যায়ে রয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় খালের আশপাশে বিদ্যমান গ্যাস পাইপলাইন স্থানান্তর করা হচ্ছে। এই কাজের অংশ হিসেবে আগামী বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত (মোট ১১ ঘণ্টা) বিভিন্ন এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।
ঘোষিত সময়কালে যেসব এলাকায় গ্যাস সরবরাহ সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে, তার মধ্যে রয়েছে—
- ঢাকার পূর্বাঞ্চলীয় গুরুত্বপূর্ণ এলাকা: টেংরা, বাহির টেংরা, হাজীনগর, আমতলা, বড়ভাঙ্গা, কোদালদোয়া, সানাড়পাড়, নিমাইকাশারি, নামা শ্যামপুর
- ডেমরা ও সংলগ্ন অঞ্চল: জিয়া সরণি, তিতাস গ্যাস সড়ক, ছাপড়া মসজিদ, রূপসী বাংলা হাসপাতাল, শনির আখড়া, গোবিন্দপুর, মাতুয়াইল, কাজলা, ভাঙ্গা ব্রিজ, স্টাফ কোয়ার্টার, আমুলিয়া, পাইটি, জহির স্টিল, শাহরিয়ার স্টিল, ধার্মিক পাড়া, কাউন্সিল এলাকা
এছাড়া আশপাশের এলাকাগুলোতেও গ্যাসের স্বল্পচাপ (low pressure) সমস্যা দেখা দিতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে।
সম্ভাব্য প্রভাব
১. গৃহস্থালি জীবনে ভোগান্তি
সব শ্রেণির গ্রাহকের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে, যার ফলে হাজারো পরিবার রান্নার কাজে সমস্যায় পড়বে। বিকল্প হিসেবে অনেককেই এলপিজি সিলিন্ডার বা বিদ্যুতে নির্ভর করতে হতে পারে, যা খরচ বৃদ্ধির পাশাপাশি অস্থায়ী ঝুঁকিও সৃষ্টি করতে পারে।
২. হাসপাতাল ও শিল্পকারখানায় বিঘ্ন
রূপসী বাংলা হাসপাতালসহ অন্যান্য চিকিৎসা ও শিল্পপ্রতিষ্ঠানে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হওয়ায় জরুরি সেবায় বিঘ্ন ঘটতে পারে, যদি না আগেই যথাযথ প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়।
৩. ছোট শিল্প ও দোকানপাট
নামা শ্যামপুর, জহির স্টিল ও শাহরিয়ার স্টিল এলাকার গ্যাস-নির্ভর কারখানা ও দোকানগুলো উৎপাদনে সমস্যায় পড়তে পারে, যা দিনে দিনে আর্থিক ক্ষতির কারণ হতে পারে।
করণীয় ও সুপারিশ
- ভোক্তাদের প্রস্তুতি: ঘোষিত সময়ের আগেই বিকল্প রান্নার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা দরকার। বিশেষ করে, কর্মজীবী ও স্কুলগামী পরিবারের জন্য পরিকল্পনা করা প্রয়োজন।
- প্রতিষ্ঠানগুলোর অগ্রিম প্রস্তুতি: হাসপাতাল, শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে বিকল্প জ্বালানির ব্যবস্থা রাখা উচিত।
- তিতাস কর্তৃপক্ষের নজরদারি: পাইপলাইন স্থানান্তর যেন দ্রুত ও নিরাপদভাবে সম্পন্ন হয়, তা নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষকে আরও দায়িত্বশীল হতে হবে।
গ্যাস সরবরাহ সাময়িক বন্ধ থাকা উন্নয়নমূলক প্রকল্পের অংশ হলেও, ভোক্তাদের জীবনে তা তাৎক্ষণিক ও বাস্তবিক প্রভাব ফেলে। তাই জনসচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি স্বচ্ছ যোগাযোগ এবং বিকল্প ব্যবস্থার সুযোগ তৈরির মাধ্যমে ভোগান্তি কমানো জরুরি।
