
তিন বছর পর পর্দায় ফিরে বাজিমাত আমির খানের: ‘সিতারে জমিন পর’-এর দুর্দান্ত বক্স অফিস সাফল্য
তিন বছর পর বড় পর্দায় ফিরেই আবারো প্রমাণ করলেন নিজের তারকাখ্যাতি ও অভিনয় ক্ষমতা—বলিউড সুপারস্টার আমির খান। তাঁর অভিনীত ও প্রযোজিত নতুন সিনেমা ‘সিতারে জমিন পর’ মুক্তির পর থেকে ভারতের বক্স অফিসে দুর্দান্ত সাড়া ফেলেছে।
প্রথম সপ্তাহেই ৮২ কোটির ঘরে আয়
হিন্দুস্তান টাইমস-এর বরাতে জানা গেছে, মুক্তির মাত্র ছয় দিনের মাথায় সিনেমাটির আয় দাঁড়িয়েছে ৮২ কোটি ৪ লাখ রুপি (শুধু দেশীয় বক্স অফিস থেকে)। প্রত্যেকটি দিনেই ছবির আয় চমকে দিয়েছে বিশ্লেষকদের:
- প্রথম দিন (শুক্রবার): ১০.০৭ কোটি রুপি
- শনিবার: ২০.০২ কোটি
- রবিবার: ২৭.২৫ কোটি
- সোমবার: ৮.০৫ কোটি
- মঙ্গলবার: ৮.০৫ কোটি
- বুধবার (ষষ্ঠ দিন): ৭.২৫ কোটি
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এভাবে চলতে থাকলে আগামী দুই দিনের মধ্যেই সিনেমাটি ‘১০০ কোটির ক্লাবে’ প্রবেশ করবে।
গল্পে আবেগ ও অনুপ্রেরণা
আর এস প্রসন্ন পরিচালিত ছবিটি শুধু বাণিজ্যিক সাফল্যই নয়, গল্পের দিক থেকেও দর্শকদের হৃদয় ছুঁয়েছে। ছবিতে একজন বাস্কেটবল কোচের চরিত্রে অভিনয় করেছেন আমির খান, যিনি নিউরোডাইভারজেন্ট (অন্যভাবে মানসিক বিকাশপ্রাপ্ত) শিশুদের নিয়ে গড়ে তোলেন একটি বাস্কেটবল দল।
এই অনুপ্রেরণাদায়ক চরিত্রে আমিরের অভিনয় প্রশংসিত হয়েছে দর্শক ও সমালোচকদের কাছে। তাঁর স্ত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন জেনেলিয়া ডি’সুজা, যিনি দীর্ঘদিন পর বলিউডের মূলধারায় ফিরলেন।
প্রত্যাবর্তনের গল্প
২০১৯ সালে ‘লাল সিং চাড্ডা’র পর বড় পর্দায় আমির খানের উপস্থিতি ছিল না। তাই ‘সিতারে জমিন পর’ শুধু একটি সিনেমা নয়, বরং তাঁর ক্যারিয়ারে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা বলেই মনে করছেন বলিউড বিশ্লেষকেরা।
‘সিতারে জমিন পর’ শুধু বক্স অফিসে নয়, দর্শকদের হৃদয়েও জায়গা করে নিচ্ছে। সামনের দিনগুলোয় এর সাফল্য আরও বিস্তৃত হবে বলেই ধারণা। আমির খানের এই প্রত্যাবর্তন নিঃসন্দেহে স্মরণীয় হয়ে থাকছে বলিউডের ইতিহাসে।