
ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের অবস্থানে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে ইরান
ইসরায়েল ও তার মিত্রদের সাম্প্রতিক সামরিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইরানের জনগণের প্রতি সংহতি জানানোয় বাংলাদেশ সরকারের পাশাপাশি দেশের সাধারণ জনগণ, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ, শিক্ষাবিদ, রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মীদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে ঢাকায় অবস্থিত ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের দূতাবাস।
শান্তিপূর্ণ প্রতিক্রিয়ার প্রশংসা
বৃহস্পতিবার দূতাবাসের এক বিবৃতিতে বলা হয়—
“বাংলাদেশের সর্বস্তরের মানুষ শান্তিপূর্ণ সমাবেশ, বক্তব্য ও বিবৃতির মাধ্যমে যেভাবে ইরানি জাতির প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছেন, তা মানবিক সচেতনতা, ন্যায়বিচার, স্বাধীনতা এবং জাতীয় মর্যাদার প্রতি গভীর প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।”
বিবৃতিতে বাংলাদেশের এই প্রতিক্রিয়াকে একটি নৈতিক ও মানবিক অবস্থান হিসেবে অভিহিত করা হয়।
প্রতিরোধের পক্ষে জোরালো বার্তা
ইরানের জনগণের প্রতিরোধকে শুধু জাতীয় ইচ্ছাশক্তির বহিঃপ্রকাশ নয়, বরং সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর বলিষ্ঠ বার্তা বলেও মন্তব্য করা হয়।
“ইরান বিশ্বাস করে, আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ শুধু বৈধ অধিকার নয়, বরং এটি একধরনের নৈতিক ও মানবিক দায়িত্ব।”
বৈশ্বিক সংহতির গুরুত্ব
বিবৃতিতে আরও বলা হয়,
“সহিংসতা, আগ্রাসন ও সম্প্রসারণবাদী নীতির বিরুদ্ধে বিশ্ববাসীর পারস্পরিক সংহতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জনগণের যে সমর্থন ও সহমর্মিতা আমরা পেয়েছি, তা আমাদের জন্য অত্যন্ত মূল্যবান।
ঢাকাস্থ ইরান দূতাবাসের এই বিবৃতি স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছে—বাংলাদেশ ও ইরানের জনগণের মধ্যে ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক এবং সাম্প্রতিক সংকটে বাংলাদেশের অবস্থান আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ইরান এই সমর্থনকে কেবল কৃতজ্ঞতাস্বরূপ নয়, বরং আন্তর্জাতিক ন্যায়ের প্রতি সম্মান হিসেবেও দেখছে।