শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানি ১ জুলাই
২০১১ সালের জুলাই মাসে সংঘটিত গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের শুনানি অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১ জুলাই।
আজ মঙ্গলবার (২৪ জুন) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এই শুনানির তারিখ নির্ধারণ করেন। বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদার–এর নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেন। অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
অভিযুক্তদের পরিচয়
এই মামলার তিন আসামি হলেন:
- শেখ হাসিনা – সাবেক প্রধানমন্ত্রী (পলাতক)
- আসাদুজ্জামান খান কামাল – সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (পলাতক)
- চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন – পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (কারাগারে)
চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন এবং তাঁকে আজ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। অন্য দুই আসামি এখনও পলাতক রয়েছেন।
রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী নিয়োগ
পলাতক দুই আসামির পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী নিয়োগের সিদ্ধান্ত দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল, যাতে তাদের অনুপস্থিতিতেও বিচারিক কার্যক্রম চলতে পারে।
মামলার অগ্রগতি
- গত ১২ মে মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়ে দাখিল করে তদন্ত সংস্থা।
- যাচাই-বাছাই শেষে ১ জুন আনুষ্ঠানিক অভিযোগ ট্রাইব্যুনালে জমা দেন চিফ প্রসিকিউটর।
- একই দিনে ট্রাইব্যুনাল অভিযোগ আমলে নেয়।
- এরপর পলাতক দুই আসামিকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়ে ১৬ জুন দুটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আদেশ দেওয়া হয়।
- পরদিন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হলেও তাঁরা আত্মসমর্পণ করেননি।
এই মামলায় অভিযোগ গঠন শুনানির মধ্য দিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপে প্রবেশ করতে যাচ্ছে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার প্রক্রিয়া। এখন দেখার বিষয়, ১ জুলাইয়ের শুনানিতে ট্রাইব্যুনাল কী সিদ্ধান্ত দেয় এবং পরবর্তী বিচারিক প্রক্রিয়া কোন দিকে অগ্রসর হয়।
