বাংলামোটরে এনসিপি কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ, আহত ৪
রাজধানীর বাংলামোটরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ককটেল হামলার ঘটনা ঘটেছে, যাতে দলটির চারজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
এই ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার রাত ১০টা ৪০ মিনিটে, রূপায়ন ট্রেড সেন্টারের নিচে। বিস্ফোরণের সময় দলটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকলেও তিনি নিরাপদে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন এনসিপির নেতারা।
আহতদের পরিচয়
এনসিপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আহত চারজন হলেন:
- শফিকুল ইসলাম – এনসিপির শ্রমিক উইং কেন্দ্রীয় সংগঠক
- আব্দুর রব – যুবশক্তির কেন্দ্রীয় সংগঠক
- সুমন হোসেন – বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, হাজারীবাগ থানা শাখার সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব
- আসিফ উদ্দিন সম্রাট – এনসিপির ঢাকা মহানগরের নেতা
ঘটনার বিবরণ
এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব বলেন,
“সদস্যসচিব আখতার হোসেন কার্যালয়ের নিচে নামলে তাঁকে ঘিরে ৫০-৬০ জন নেতাকর্মী দাঁড়িয়ে ছিলেন। ঠিক তখনই সিগন্যাল ছাড়ার পর হঠাৎ একটি সাদা রঙের হাইয়েস গাড়ি থেকে একটি ককটেল ছুড়ে মারা হয়। ককটেলটি কারও গায়ে না লাগলেও কাছাকাছি পড়ে বিস্ফোরিত হয়।”
এ বিষয়ে দলের যুগ্ম সদস্যসচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দীন সিফাত বলেন,
“এটা একটি পরিকল্পিত সন্ত্রাসী হামলা। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারীদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করতে হবে। ব্যর্থ হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে এর দায় নিতে হবে।”
আগের দিনেও একই ঘটনা
উল্লেখ্য, এর আগের রাতেও (রোববার) একই স্থানে একটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে, যা এনসিপি নেতাকর্মীদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পদক্ষেপ
ঢাকার রমনা থানার এসআই মিজানুর রহমান পাটোয়ারী গণমাধ্যমকে বলেন,
“ঘটনার খবর পেয়েই পুলিশ ফোর্স ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।”
দলের প্রতিক্রিয়া
ঘটনার পরপরই এনসিপির নেতাকর্মীরা তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল করেন এবং সন্ত্রাসী হামলার বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার ও নিরাপত্তার দাবি জানান।
একাধিক দিনের একই জায়গায় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা রাজধানীতে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। রাজনৈতিক দল হিসেবে এনসিপি এর পেছনে ‘সন্ত্রাসী চক্রান্ত’ দেখতে পাচ্ছে, আর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, বিষয়টি তদন্তাধীন।
চূড়ান্ত দায় নিরূপণ ও ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা নিশ্চিতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি উঠছে বিভিন্ন মহল থেকে।
