ম্যানইউ-এর বাতিল ম্যাকটমিনের ফ্রেম ম্যারাডোনার পাশে
স্কট ম্যাকটমিনে, যাকে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড একসময় তেমন গুরুত্ব দেয়নি, তিনিই এখন নাপোলির ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা এক নাম। ‘বিশেষ চরিত্র’ আখ্যা দেওয়া এই মিডফিল্ডারকে সঠিকভাবে চিনেছিলেন হোসে মরিনহো, কিন্তু ম্যানইউ ৩০ মিলিয়ন ইউরোতে তাকে বিদায় দেয়। আজ সেই ম্যাকটমিনেই নাপোলিকে ৯৮ বছরের ইতিহাসে চতুর্থবারের মতো সিরি এ শিরোপা এনে দিলেন।
মৌসুমের পরিসংখ্যান:
- লিগ ম্যাচ: ৩৪
- লিগ গোল: ১২
- মোট গোল: ১৩
- সহায়তা: ৬
- ইতালির সেরা ফুটবলার (২০২৪-২৫ মৌসুম)
বদলে যাওয়া নাপোলি:
নতুন কোচ অ্যান্তোনিও কন্তে দলের হাল ধরেন এক কঠিন সময়ে। ক্লাবের তারকা স্ট্রাইকার ভিক্টর ওসিমহেন প্রিমিয়ার লিগে যেতে চাইলেও দলবদল না হওয়ায় কন্তে তাকে তুরস্কের লিগে ধারে পাঠিয়ে দেন।
আরেক গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় কাভিচা কাভারাস্তখেলিয়া চলে যান পিএসজিতে। দলের ভার পড়ে ম্যাকটমিনে ও রোমেলু লুকাকুর কাঁধে। লুকাকু দেন ১৪ গোল ও ১০ অ্যাসিস্ট, তবে দলের ছন্দ, নেতৃত্ব ও প্রাণ হয়ে ওঠেন ম্যাকটমিনেই।
ম্যারাডোনার পাশে ম্যাকটমিনে
নাপোলির কিংবদন্তি ডিয়েগো ম্যারাডোনা ১৯৮৬–৮৭ ও ১৯৮৯–৯০ মৌসুমে নাপোলিকে সিরি এ জিতিয়েছিলেন। এরপর ২০২২–২৩ মৌসুমে ওসিমহেন-কাভিচারা তৃতীয় শিরোপা জেতান। এবার সেই ঐতিহাসিক তালিকায় যোগ দিলেন ম্যাকটমিনে।
তিনি এখন এমন এক কীর্তি গড়েছেন, যার ফলে ম্যারাডোনার পাশেই নিজের ছবি বাঁধানোর দাবি রাখেন।
ইন্টারের হৃদয়ভাঙা মৌসুম
সিমোন ইনজাঘির ইন্টার মিলান পুরো মৌসুমে লিগ টেবিলের শীর্ষে ছিল। ট্রেবল জয়ের স্বপ্ন দেখছিল তারা। তবে কোপা ইতালিয়ানোর ফাইনালে এসি মিলানের কাছে হার এবং লিগে মাত্র ১ পয়েন্টে পিছিয়ে থেকে শিরোপা হাতছাড়া করে তারা।
এখন ইন্টারের একমাত্র আশ্রয় চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল, যেখানে তাদের মুখোমুখি পিএসজি।
স্কট ম্যাকটমিনে প্রমাণ করলেন, সুযোগ আর আস্থার মূল্য কতটা। ম্যানইউ যাকে ত্যাগ করেছিল, সেই ম্যাকটমিনেই আজ নাপোলির ত্রাণকর্তা। মরিনহোর দূরদর্শিতা আবারও সত্যি হলো—‘বিশেষ চরিত্র’রা সময়মতোই নিজের বিশেষত্ব প্রমাণ করে।
